বাংলাদেশে স্ট্রোকের হার প্রতি হাজারে ১২ জন। সেই হিসাবে দেশের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষ স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরোসার্জারি বিভাগের আতা এলাহী খান মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. অসিত চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ। কর্মশালায় ঢামেকের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, বর্তমান পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢামেকের নিউরোসায়েন্স বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্ট্রোক বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর কারণ। তাই এ রোগের লক্ষণ দেখার সঙ্গে সঙ্গে যত দ্রæত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। স্ট্রোকের লক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া, চোখে ঘোর দেখা, চেহারা পরিবর্তন হওয়া, বাহু অবশ হওয়া, কথা বলার সময় জড়তা চলে আসা ইত্যাদি। এসব লক্ষণ দেখা দিলে গোল্ডেন টাইমের মধ্যে (প্রথম ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা) চিকিৎকের শরণাপন্ন হতে হবে। কর্মশালায় জানানো হয়, ১৯৮০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইউরোপ বা আমেরিকাতে স্ট্রোকের ৪২ শতাংশ রোগী কমেছে। কিন্তু অনুন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই রোগ শতভাগ বেড়েছে। প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, স্ট্রোকের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঢামেক অনেক অগ্রসর হয়েছে। এই রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন সরকার আমাদের সবকিছু দিচ্ছে। স্ট্রোকের প্রতিকার প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, স্ট্রোক সম্পূর্ণ প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য। স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে ফাস্টফুড ও ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন