মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের প্রতীক সেনাবাহিনী

৩টি ব্রিগেড-৫টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলনকালে প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

সেনাবাহিনী দেশের মানুষের বিশ্বাস ও ভরসার প্রতীক। দেশের সংবিধান এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য এ বাহিনীকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক যেকোনও ধরনের হুমকি মোকাবিলা করার জন্য সদা সতর্ক থাকতে হবে। এ বাহিনীর সব সদস্যকে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

গতকাল সকালে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে শেখ হাসিনা সেনানিবাসে নবপ্রতিষ্ঠিত তিনটি ব্রিগেড ও ৫টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে শেখ হাসিনা সেনানিবাসে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে লেবুখালীতে বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তি চাই, বন্ধুত্ব চাই। বৈরিতা চাই না, যুদ্ধ চাই না। কোনও ধরনের সংঘাতে আমরা জড়িত হতে চাই না। কিন্তু যদি কখনও আক্রান্ত হই, সেটা মোকাবিলা করার মতো শক্তি যেন আমরা অর্জন করতে পারি, সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই এবং সেভাবে তৈরি থাকতে চাই।

বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে সরকার প্রধান বলেন, মানুষের আস্থা অর্জন করে আপনাদের এগিয়ে যেতে হবে। সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে দেশের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে পেশাদারিত্বের কাক্ষিত মান অর্জনের জন্য আপনাদের সবাইকে পেশাগতভাবে দক্ষ, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎ এবং মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হতে হবে। পবিত্র সংবিধান এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক যেকোনও ধরনের হুমকি মোকাবিলা করার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট, যেটা জাতির পিতা দিয়ে গেছেন। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়েই আমরা বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত করতে চাই। কিন্তু যদি কখনও আমরা আক্রান্ত হই, সেটা মোকাবিলা করার মতো শক্তি যেন আমরা অর্জন করতে পারি, সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই এবং সেভাবে তৈরি থাকতে চাই। শান্তির পথ বেয়ে প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের বাহিনী, সেনাবাহিনী জনগণের বাহিনী। এ দেশের উন্নতি হলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিবারের উন্নতি হবে। সে কথা মাথায় রেখে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

করোনাকালে দেশের মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে দাঁড়ানোর জন্য সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানান এবং পাশাপাশি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা এই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সম্পূর্ণ বঞ্চিতই ছিলাম। কাজেই সেখানেই আমাদের একটা এখন ডিভিশন হলো। সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনার আলোকে প্রাকৃতিক শোভাকে নষ্ট না করে পরিবেশবান্ধব সেনানিবাস গঠনের পরিকল্পনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই এলাকায় সেনানিবাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেও প্রাণসঞ্চার করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সেনাবাহিনীর ভেতরে মূল চালিকাশক্তি, ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, দায়িত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে আপনাদের স্বীয় কর্তব্য যথাযথভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাবেন সেটাই আশা করি।

অনুষ্ঠানস্থলে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্ব-স্ব ইউনিটের পতাকা তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নতুন ব্রিগেডগুলো হলো সদর দফতর ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড, সদর দফতর ২৮ পদাতিক ব্রিগেড। ইউনিটগুলো হলো ৪৯ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ান, ৬৬ ইস্টবেঙ্গল, ৪৩ বীর এবং ৪০ এসটি ব্যাটালিয়ন।

২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের পতাকা উত্তোলন করে এই সেনানিবাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর একনেকে এই সেনানিবাসের প্রকল্প অনুমোদন হয়। এর নির্মাণ ব্যয় ১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। এর আয়তন এক হাজার ৫৩২ একর। বরিশাল ও পটুয়াখালীর সীমান্তবর্তী পায়রা নদীর তীরে এই সেনানিবাস প্রতিষ্ঠিত। ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর অংশ হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই সেনানিবাস প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Shamima Nasrin Norin ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪২ এএম says : 1
আন্তরিক ভালবাসা বিশ্বাস সম্মান থাকবেই চিরকাল চিরন্তন সুস্পষ্ট ভালো মন দ্বারা আপনাকে কখনও ভুলবো না। আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং সুস্বাগতম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জননী চমৎকার জননেত্রী জয় বাংলা জয় বাংলা
Total Reply(0)
Surjo Roy ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 1
জয়তু জননী দেশরত্ন জননেত্রী সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা চিরন্তন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
Total Reply(0)
Abul Bashar Babu ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 1
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় হোক এদেশের জয়হোক মেহনতি মানুষের
Total Reply(0)
Khan Mostak ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যাবস্হা জাতীয়করণ চাই।
Total Reply(0)
Akram Hossain ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৪ এএম says : 0
আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনি।
Total Reply(0)
Md Jahangir Alam ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৫ এএম says : 0
এতজয়গান না গেয়ে যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, এমনিতেই দেশে জব কর্মসংস্থানের খুব অভাব তারপরেও আবার রোহিঙ্গা
Total Reply(0)
নাসিম ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
সেনাবাহিনীকে সেই জায়গায় আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।
Total Reply(0)
দু খী জীবন ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
এখন আর কেউ এই কথা বলে না।
Total Reply(0)
Jack Ali ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৩৭ এএম says : 0
We are muslim as such Military's duty is to save our country from every type of corruption and ensure that our country rule by the Law of our Creator The Al-Mighty Allah [SAW] then our country be crime free and also we will be able to develop our country like china.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন