শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

অবশেষে এএসআই রায়হানুল গ্রেফতারঃ ৪ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য

রংপুরে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ৬:৪২ পিএম

রংপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার মুল নায়ক ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম রাজুকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পিবিআই পুলিশ।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে পুলিশ লাইন থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই কার্যালয়ে নেয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে বিজ্ঞ আদালত আগামী ৪ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঘটনার প্রধান আসামী এএসআই রাহেনুলকে হেলমেট পরিয়ে আদালতে নেয়া হয়।
পরে পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তারা আসামীকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন আদালতে দাখিল করেছে বিজ্ঞ ব্চিারক আগামী ৪ নভেম্বর রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করে আসামীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ২২ ধারায় ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এএসআই রাহেনুলের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছেন নির্যাতিতা ওই স্কুলছাত্রী।

পরে বুধবার সন্ধ্যায় জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জানান, স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনার আগের দিন ২৩ অক্টোবর প্রেমের সূত্র ধরে এএসআই রাহেনুল তার পূর্বপরিচিত এজাহারভুক্ত আসামি ভাড়াটিয়ার বাড়িতে নিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে ওই স্কুলছাত্রী রাহেনুলের সাথে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলে তার মা বকাবকি করেন। একারণে সে অভিমান করে ওইদিন রাতেই রাহেনুলের পরিচিত ওই ভাড়াটিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে অবস্থানকালে পরের দিন রাতে অচেনা দুই পুরুষ মেয়েটিকে ভাড়াটিয়ার সহায়তায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেনকে বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে নেয়া হয়। সেখানে একই বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার সাথে ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম রাজুর জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়ায় রাতেই তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই পুলিশ। এর আগে দুইদিন তাকে মহানগর পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছিল।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন