মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম এমপি বলেন, হালদা নদী জাতীয় সম্পদ, হালদা নদীর জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি হালদা পাড়ের বাসিন্দা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে গত বৎসর ডিম ছাড়ার মৌসুমে গত কয়েক বৎসরের রের্কডের তুলনায় বেশী পরিমান ডিম ছাড়ার পেছনে রাউজান হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন, রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী ও হালদা পাড়ের বাসিন্দাদের পরিশ্রমের ফসল। ৩০ অক্টোবর শুক্রবার সকালে হালদা নদী পরির্দশনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম আরো বলেন, হালদা নদীর জীব বৈচিত্র রক্ষায় সরকার কাজ করছে। হালদা নদীর জীব বৈচিত্র রক্ষায় সরকারের সকল কার্যক্রমকে এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ সহায়তা করতে হবে। হালদা পাড়ের জেলে, মৎস্যজীবিদের বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। হালদা নদীর পাড়ে রাউজান-হাটহাজারী এলাকায় অচল হ্যচারীগুলো মোরামত করা হবে।
শুক্রবার সকালে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম, মৎস্য মন্ত্রনালয়ের সচিক রওনক মাহমুদ, মৎস্য মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অফিসার ফারহানা লাভলী সহ চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশনের কর্মকর্তরা নগরীর মোহরা কালুর ঘাট এলাকা থেকে বোটযোগে হালদা নদী পরির্দশন করেন। হালদা নদী পরিদর্শনকালে হাটহাজারী উপজেলার সর্তার ঘাট এলাকায় চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অফিসার ফারহানা লাভলীর সভাপতিত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের সাথে মতবিণিময় সভায় মৎস্য মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম বক্তব্য রাখেন।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন, গড়দুয়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার মোর্শেদ, উত্তর মার্দ্রাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ, হাটহাজারী উপজেলা কৃষক লীগ নেতা আলাউদ্দিন, রাউজান উপজেলা মৎস্য অফিসার পিযুষ প্রভাকর, হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য অফিসার আজাহার উদ্দিন।
মৎস্য মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিমের সাথে মতবিনিময়কালে রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেসানুল হায়দার বাবুল তার বক্তব্যে বলেন, হালদা রক্ষা ও গবেষনার নামে নগরীর অভিজাত হোটেলে সভা সেমিনার না করে হালদা নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের নিয়ে হালদা রক্ষায় মতবিনিময় করলে ভাল সুফল পাওয়া যাবে।
হাটহাজারীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার মোর্শেদ বলেন, হালদা নিয়ে অনেক গবেষনা করা হয়েছে। গবেষকদেও দেওয়া তথ্য নিয়ে হালদা রক্ষা করা যাবেনা। হালদা নদীর তীরের জেলে মৎস্যজীবি যারা রয়েছে তাদের জীবনমান উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হালদা পাড়ের জেলে ও মৎস্যজীবি যারা রয়েছে তারা হালদা নদী থেকে মাছ শিকার করেনা। হালদা নদী থেকে জাল ও বড়শী দিয়ে মাছ শিকার করে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। হালদা নদীর মাছ শিকার করে যে সব জেলে ও মৎস্যজীবি জীবিকা নির্বাহ করতো তারা অন্য পেশায় চলে গেছে। জেলে ও মৎস্যজীবিদের তালিকা করা হয়েছে ঐ তালিকায় জেলে ও মৎস্যজীবিদের পরির্বতে বিত্তশালীদের নাম তালিকায় অন্তভুক্ত করে তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলেও জেলে ও মৎস্যজীবিরা সরকারের দেওয়া সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে।
হাটহাজারী উত্তর মার্দরাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপি জামাত জোট সরকারের শাসন আমলে হালদা নদী রক্ষার নামে একটি কমিটি করা হয়। ঐ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি জামাতের লোকজন। বিএনপি জামাত নেতা বেষ্টিত হালদা রক্ষা কমিটি হালদা রক্ষার নামে হালদাকে ধংস করছে। অপরদিকে হালদাকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসুচির নামে সরকারের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কৌশলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন