ভারতের ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলার একটি গ্রামে একই পরিবারের ৩ জনকে গলা কেটে হত্যার মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, সম্প্রতি খুন্তি জেলার ওই গ্রামে এক সন্তানের জন্ম দেন এক নারী। জন্মের কয়েকদিন পরই মারা যায় শিশুটি। এরপর স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ তোলেন বিরষা মুণ্ডা নামের এক ব্যক্তির পরিবার ওই সন্তানের মৃত্যুর জন্য দায়ী। কারণ, তারা গোপনে কালো জাদু করে থাকে। -টুডে নিউজ
কালো জাদু করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে; এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে। পরে ওই পরিবারকে শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করেন কয়েকজন গ্রামবাসী। ‘শাস্তিস্বরূপ’ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বেশ কয়েকজন মিলে অভিযুক্ত পরিবারের তিনজনকে অপহরণ করেন। পরে তাদের শিরশ্ছেদ করা হয়। পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায়, মৃতরা হলেন বিরষা মুণ্ডা (৪৮), তার স্ত্রী সুক্রু পুর্তি (৪৩) ও মেয়ে সোমওয়ার পুর্তি (২০)। সম্প্রতি বিরষার এক মেয়ে পরিবারের খোঁজ নিতে বাড়ি আসেন। কিন্তু এসে বাড়ি ফাঁকা পান।
চারদিক খুঁজেও তিনি হদিস পাননি বাবা-মা, বোনের। তখনই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। অবশেষে গত বুধবার খুন্তি জেলার একটি গভীর জঙ্গল থেকে তিনজনের মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনেরই কাটা মাথা পাওয়া যায় জঙ্গলের কাছের একটি এলাকায়। এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খুন্তি জেলার এসপি আশুতোষ শেখর বলেন, আটককৃতরা শিরশ্ছেদের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন