বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শিউরে উঠলেন চিকিৎসকরা!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

চোখে সামান্য অস্বস্তি। তাও প্রায় দুই মাস আগের কথা। আর যখন অস্বস্তি শুরু হয়েছিল তখন কি বয়স্ক লোকটি ভাবতেও পেরেছিলেন যে, কোন বড় বিপদ তার চোখের ভেতর বাসা বেঁধেছে!
দিন দিন চোখে ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় ছুটতে হল হাসপাতালে। অবশেষে সামনে এল গা শিরশিরে সত্যি। দেখা গেল চীনের ওয়াং পদবিধারী ওই বৃদ্ধের (৬০) চোখের মধ্যে বসবাস করছে প্রায় ২০টি মতো কৃমি! আর প্রতিটি কৃমি রীতিমতো নড়াচড়া করছে!

বৃদ্ধের চোখের ব্যথাটা সহ্যের বাইরে যাওয়ার উপক্রম হয়। এরপরই তিনি ভর্তি হন সুঝাউ শহরের হাসপাতালে। পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা চমকে ওঠেন। ওই ভদ্রলোকের চোখের পাতায় একঝাঁক কৃমি কিলবিল করতে দেখতে পান তারা। সঙ্গে সঙ্গে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন তারা।

অবশেষে ড. জিটিং নামের এক চিকিৎসক অপারেশনের মাধ্যমে নেমাটোড নামের পরজীবীগুলিকে রোগীর চোখ থেকে বের করে আনেন। এই পরজীবীগুলি বেশ তাড়াতাড়ি বাড়ে। মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই তারা লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ চেহারা নেয়। সাধারণত কুকুর ও বিড়াল জাতীয় প্রাণীদের চোখের অশ্রুগ্রন্থিতে বসবাস করে।
কিন্তু কী করে তা একজন মানুষের চোখে বাসা বাঁধল তা ভেবে পাচ্ছেন না কেউই। ওয়াং জানাচ্ছেন, তার কোনও পোষ্য নেই। তবে তার ধারণা কাজের জন্য বাইরে বাইরে ঘুরতে হয় তাকে। সম্ভবত তখনই কোনও ভাবে ওই কৃমিগুলি বাসা বেঁধেছিল তার শরীরে।

এই ধরনের ঘটনা অবশ্য খুব বিরল নয়। এরকম আগেও দেখা গেছে। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে পোষ্য রয়েছে তাদের সাবধান করে দিয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পোষ্যের স্বাস্থ্যের দিকে যেন নজর রাখা হয়।
অন্যথায় নেমাটোড তাদের শরীরেও প্রবেশ করতে পারে। পাশাপাশি চোখে কোনও রকম সমস্যা কিংবা দেখতে অসুবিধা হলে যেন দ্রæত চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হয়। সূত্র : ডেইলি মেইল/ইন্ডিয়া টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন