শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

টাকা দেবেন যাত্রীরাই

সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে খসড়া নীতিমালা নিয়ে বৈঠক মঙ্গলবার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

সারাদেশে সড়ক মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নতুন নীতিমালা করা হচ্ছে। নতুন নীতিমালায় সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের টাকা ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আদায়ের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ নীতিমালা-২০২০-এর খসড়ায় এমন প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতে, সড়ক নির্মাণের পর সেটি দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করার উদ্দেশ্যেই এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। নতুন এই খসড়া নীতিমালা নিয়ে আগামী ৩ নভেম্বর সচিবালয়ে আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠক ডাকা হয়েছে।

সারাদেশে সড়ক-মহাসড়কে সেতু থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে বহু আগে থেকেই। পাশাপাশি তিনটি সড়ক থেকেও টোল আদায় করা হচ্ছে। এবার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের টাকা ব্যবহারকারী বা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালার ১০ নম্বর ধারায় বলা আছে, সরকার পর্যায়ক্রমে সড়ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় আহরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সড়ক ব্যবহারের অনুপাতে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় নির্বাহের জন্য ‘রোড মেইনটেন্যান্স ফান্ড’-এর মাধ্যমে অর্থ সংস্থান করা হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ জোগানে ২০১৩ সালে একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে বিল আকারে পাস হয়। তবে সেটি এখনো কার্যকর হয়নি। দেশে নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণে অর্থ ব্যয়ে মন্ত্রণালয়গুলো যতটা আগ্রহী, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে ততটা আগ্রহ দেখা যায় না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে টাকা চাওয়া হয়, তা পাওয়া যায় না। একজন কর্মকর্তা উদাহরণ টেনে বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সড়ক সংস্কার ও অবকাঠামো সংরক্ষণে ১২ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হলেও এর বিপরীতে পাওয়া গেছে মাত্র দুই হাজার ২২৮ কোটি টাকা। একটি সড়ক নির্মাণের পর বছর না ঘুরতেই সেটি বেহাল হয়ে পড়ে। এমন বাস্তবতায় সরকার নীতিমালা করতে যাচ্ছে, যেখানে ব্যবহারকারীদের টাকা দিয়েই সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে টাকা খরচ হবে, তা ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

জানা গেছে, এ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, নতুন বিনিয়োগ প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করবে, নির্মাণ-পরবর্তী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানই দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে আর্থিক সমস্যা দূর করতে সরকার প্রয়োজনে দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে বিকল্প উপায়ে অর্থায়নের চেষ্টা করবে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার একটি বার্ষিক বরাদ্দ কর্মসূচি প্রণয়ন করবে। সওজের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করবে। এটা তাদের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক হবে। তবে ঠিকাদারকে কত সময়ের জন্য সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা প্রকল্প কাজের গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে ঠিক করা হবে। খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, নিয়মিত সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করবে। একই সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে যন্ত্রপাতি লিজ ও ভাড়া দিতে পারবে সরকার।
সারাদেশে বর্তমানে ২২ হাজার ২৯৫ কিলোমিটার জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়ক রয়েছে। এ সড়ক মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই নতুন নীতিমালা করা হচ্ছে। সব পক্ষের মতামত নিয়ে দ্রুতই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
Jasim Uddin Akon ১ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৩ এএম says : 0
খুবই ভালো উদ্যোগ।
Total Reply(0)
রাজিব ১ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৪ এএম says : 0
সড়ক রক্ষায় আরও কার্যকর উপায় বের করতে হবে।
Total Reply(0)
রাজি হোসেন ১ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৫ এএম says : 0
ঠিক আছে, তবে যেন লুটপাট না হয়।
Total Reply(0)
রাজি হোসেন ১ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৫ এএম says : 0
ঠিক আছে, তবে যেন লুটপাট না হয়।
Total Reply(0)
রাজিব ১ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৬ এএম says : 0
ঠিক আছে, তবে যেন লুটপাট না হয়।
Total Reply(0)
রাজিব ১ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৬ এএম says : 0
ঠিক আছে, তবে যেন লুটপাট না হয়।
Total Reply(0)
salman ১ নভেম্বর, ২০২০, ৫:১৯ এএম says : 0
BANGLADESH ARMY, NAVY, AIR FORCE. Ai 3 Bahini'r Engineer der Daraa Somonnito Vabay "SOB SOROK, MOHASOROK" toiri kora hok, ta holay TEKSOI hobay monay kori.
Total Reply(0)
Nannu chowhan ১ নভেম্বর, ২০২০, ৭:৪৬ এএম says : 0
Shorok nirman karjjo krome hajar hajar koti taka loot pat kor tole protha shekhaneo taka khaia niom bohirvoto dolio lokder contract deowa hoy tarpor eakhon shadharon jonogoner pcket theke rasta bebharer jonno taka shonggroho korben, eto ajab bepar prithibir kothaow eai niom ase kina amar jana nai,tobe eai je garigolo theke tole babod taka shonggrho kora hoy iha jonogoner pocket thekei jai,tai boli, "morar opor khoraght deben na" apnader shokari koshagharer budget boradde khoroche shochsota anun ebong oshot kormokortader jhataia bidai kore dolio koroner urdhe theke shorkari o beshorkari kaj kormo porichalna koren taholei shottikar orthe shorkari koshaghare onashatito vabe taka joma hobe desh onnoto hobe jonogonero shosti fere ashbe ,dhonnobad jodi apnara bujhe thaken
Total Reply(0)
MD Akkas ১ নভেম্বর, ২০২০, ৮:১৭ এএম says : 0
আমারা যে ইনকামটেক্স দিচ্ছি সেগুলো কোন বাবদ দেই?আবার জনগণের আরেক বোঝা চাপাচ্ছেন! জিনিসপত্রের দাম এখন ক্রেতার নাগালের বাইরে। সাধারণ জনগণ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কথা একটু ভাবুন!
Total Reply(0)
saiful ১ নভেম্বর, ২০২০, ৯:৩৭ এএম says : 0
উদ্যোগ ভালো সেটা সমর্থন করি, কিন্তু যে শড়কের টাকা পাবলিকের কাছ থেকে নেবে সেই শড়কেরও একটা কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড থাকা চাই। ১ কোটি টাকা বাজেট করে খাতা কলমে কাজ হয়না ৫০ হাজার টাকার সমপরিমানের! কিন্তু এই আইনের বদলে সরকার পাবলিকের কাছথেকে নেবেন ১ কোটি টাকা, অথচ প্রায় পূরো টাকাটাই গেলো সো কল দেশ প্রেমিকদের হাতে।
Total Reply(0)
Jack Ali ১ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৪৮ এএম says : 0
Majority people in our country is poor because of pandemic Corruption.. We give tax and on top of government burden us also paying VAT.. Now they have to take money when we use the road. If our country ruled by the Law of Allah then country become like china.. China is self-sufficient, they do not depends on any country.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন