বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মেসির সঙ্গে বার্সার আচরণে ক্ষুব্ধ ম্যারাডোনা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে দুই মৌসুম স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে খেলেছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। সেসময় তার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তা স্বস্তিদায়ক ছিল না। সে আলোকে বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক তারকা বলেছেন, তিনি আগেই জানতেন যে, লিওনেল মেসি ও বার্সার মধ্যকার সম্পর্কের শেষটা সুখকর হবে না! গত শুক্রবার ৬০তম জন্মদিন উদযাপন করেন ম্যারাডোনা। এমন বিশেষ দিনে নিজ দেশের গণমাধ্যম ক্লারিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘আমি জানতাম এই ব্যাপারটার (মেসি-বার্সেলোনার সম্পর্ক) শেষটা সুখকর হবে না। আমি ভেবেছিলাম লিও ক্লাব ছেড়ে চলে যাবে। আমার নিজের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটেছিল।’
গত মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলে উড়ে গিয়েছিল কাতালানরা। এরপর ক্লাবটির সঙ্গে দীর্ঘ দুই দশকের বন্ধনের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেসি। বার্সার প্রাণভোমরার এমন সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসেছিল গোটা ফুটবল দুনিয়া। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে থেকে গেলেও বার্সা বোর্ডের পরিকল্পনাহীনতা ও সভাপতির কথা দিয়ে কথা না রাখা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন মেসি। মেসি-বার্সার মধ্যে টানাপোড়েন চলাকালে সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের পদত্যাগের জোর দাবি উঠেছিল। তাতে অবশ্য ভ্র‚ক্ষেপই করেননি তিনি। এরপর বার্সার সদস্যদের উদ্যোগে তার বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক অনাস্থা ভোট আয়োজনের সব বন্দোবস্ত সম্পন্ন হয়ে গেলেও অনড় ছিল তার অবস্থান। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই পদত্যাগ করে বসে বার্তোমেউসহ বার্সেলোনার পুরো পরিচালনা পর্ষদ। পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে কার্লোস তুসকেতসের নাম ঘোষণা করা হয়।
মেসির পুরো ক্যারিয়ার বার্সাতে কাটলেও ম্যারাডোনার ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি। ১৯৮২ বিশ্বকাপের পর সেসময়ের রেকর্ড ৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বোকা জুনিয়র্স থেকে ‘ফুটবল ঈশ্বর’কে দলে টেনেছিল তারা। কিন্তু মাত্র দুই বছর পরই স্পেন ছেড়ে তিনি পাড়ি জমান ইতালিতে। সেখানে নাপোলির হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা উপভোগ করেন তিনি। ন্যু ক্যাম্পে থাকার স্মৃতি স্মরণ করে ম্যারাডোনা বলেন, মেসির সঙ্গে যথাযথ আচরণ করেনি ক্লাবটি, ‘বার্সেলোনা সহজ কোনো ক্লাব নয়। সে অনেক বছর ধরে বার্সায় আছে। কিন্তু তার সঙ্গে তারা সেভাবে আচরণ করেনি, যা তার প্রাপ্য। সে তাদের সবকিছু উজাড় দিয়েছে, তাদের সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গেছে, অথচ সে যখন পরিবর্তনের খোঁজে ক্লাব ছাড়তে চাইল, তারা তাকে না বলে দিলো।’ তবে বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির বিষয়টির তুলনা করলেন ম্যারাডোনা নাপোলিতে থাকার সময় তার নিজের অভিজ্ঞতার সঙ্গে, ‘মার্সেই দ্বিগুণ বেতন দিতে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তখন আমি নাপোলিতে। ক্লাব প্রেসিডেন্টকে বললাম, আমাকে যেতে দাও। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করে বললেন, আমরা যদি উয়েফা কাপ জিতি তাহলে তিনি আমাকে যেতে দেবেন। আমরা যেদিন জিতলাম, তার অফিসে গিয়ে তাকে বললাম, আমি চলে যাচ্ছি, কিন্তু তিনি আমাকে যেতে দেননি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন