শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজপথে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না

ভিডিও কনফারেন্সে ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

রাজপথের রাজনীতিতে বিএনপিকে এখন হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি এখন ফেসবুক স্ট্যাটাস ও গণমাধ্যমেই সীমাবদ্ধ। অথচ শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা শুনলে হাওয়া ভবন তন্ত্রের কুশীলবদের গাত্রদাহ হয়। গতকাল নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভার উদ্যোগে নবনির্মিত পৌরপার্ক ও টার্মিনাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলা এবং শেখ হাসিনার তোষণের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করছে’ বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিষোদগার করা এখন বিএনপির রাজনীতির রোজনামচার অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের কথা বললেই বিএনপির গাত্রদাহ হয়। আওয়ামী লীগ কখনোই বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, তাদের নেতিবাচক ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘৭৫-এর খুনি ও খুনের মদদদাতা, গ্রেনেড হামলার খুনের মাস্টারমাইন্ড ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বগলে নিয়ে যারা দেশের রাজনীতিকে বিষাক্ত করেছে। তাদের কাছে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কথা শুনতে ভালো না লাগাই স্বাভাবিক।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীর সাম্প্রতিক (ধর্ষণ-সন্ত্রাস) ঘটনা সম্পর্কে বলেন, গুটিকয়েক অপরাধীর জন্য সরকারের উন্নয়ন-অর্জন ম্লান হতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে। শেখ হাসিনার সরকার যেকোনও অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর। দলীয় পরিচয়ে কেউ রেহাই পাবে না। তবে এটা ঠিক যে, যতোই উন্নয়ন হোক, সবকিছু ম্লান হয়ে যায় দু’একটি ঘটনায়। নোয়াখালীর ঘটনায় আমি নিজেও লজ্জিত।

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের এসব অপরাধ রোধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপকর্মকারীরা আওয়ামী লীগের হলেও তারা যেন ছাড় না পায়। শাস্তির পাশাপাশি এসব অপরাধীর জন্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরতরে বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ সুখে আছে। করোনাকালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে জনগণের জীবন-জীবিকার ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। দেশের অর্থনীতি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চেয়ে অনেক ভালো আছে। কিন্তু বিএনপি এসব দেখে না বরং পূর্ণিমার রাতেও অন্ধকার দেখতে পায়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও তাকে সংসদে যেতে দেয়া হয়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসলে পুতুল নাচের পুতুল। বিএনপি দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের আন্দোলন করতে না পারা, উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে এজেন্ট না দিয়ে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা থেকেই তা পরিষ্কার। দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় ফিরিয়ে আসতে বিএনপিকে আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন