লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করে তার মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরের বাঁশকল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে তাকে হত্যা করা হয়ে বলে তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে নানা রকম তথ্য আসতে থাকে। সঙ্গে চাঞ্চল্যও বাড়তে থাকে নেট দুনিয়ায়।
ফেসবুকে সবুজ রহমান লিখেছেন, ‘‘খুব ভালো করে তদন্ত করা উচিত। এর পিছনে আরো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। যেহেতু এখানে গণআসামী করা হবে। এই মামলাকে কাজে লাগিয়ে সুবিধাভোগীরা আবার সুযোগ নিতে পারে। নিরীহ মানুষ আবার হয়রানীর শিকার হতে পারে যারা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নেই। আশা করি প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত করবে।’’
হেলাল ইশাক লিখেছেন, ‘‘লালমনিরহাটে যাকে আগুনে পোড়ানো হয়েছে সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো কিন্তু তার সাথে যে ছিলো সে ও কি মানসিক ভারসাম্যহীন? তাহলে কেন তা হাইলাইট করা হচ্ছে না?’’
কাজী আনাস লিখেছেন, ‘‘কাজটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এই কাজটি কোরআন অবমাননার কারণে করা হয় নাই। এটা ছিল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে করা। তার ভাইয়ের কথা অনুসারে তার বন্ধুর সাথে যেখানে যায় সেখানে তার বন্ধু এই কাজটি ঘটায়।স্বাভাবিক অর্থেই নিজের গ্রাম ছেড়ে চার পাঁচটা গ্রাম পরে অন্য গ্রামে গিয়ে কোরআন অবমাননা করার কোন প্রশ্নই আসে না।’’
নাজমুল হাসান বিপ্লব লিখেছেন, ‘‘..নিউজে দেখলাম সে আসরের নামাজ পড়ে পড়ার জন্য কুরআন ধরতে গিয়ে অসাবধানতা বশত হাত থেকে পড়ে যায় এবং তিনি অনুতপ্ত হয়ে তা উঠিয়ে চুমু দেয়। কিন্তু মুয়াজ্জিন সাহেব তার সাথে বিতর্ক জুড়ে দিলে বাহিরে কুরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যানিনা কোনটা সত্য? যদি তার সাথে অন্যায় হয় আল্লাহ উত্তম বিচারকারী।’’
আরিফ আয়মান লিখেছেন, ‘‘মুসলিম জাতি, ইসলাম পুরোপুরি না মানলেও যখন শুনে মহান আল্লাহ, পবিত্র কুরআন ও রাসুলুল্লাহ (সঃ) কে নিয়ে আপত্তিকর কোন কথা বা কাজ করা হয়, তখন তারা খুবই আবেগি হয়ে যায় যা পরবর্তীতে সহিংসতায় রুপ নেয়। আসলে আমাদের এমন হওয়া উচিত নয়, আমাদের উচিত সময় ও সুযোগে বুঝে এর জবাব দেওয়া। যে সকল মানুষ বুঝেনা যে কোন কথায় বা কাজে অন্য মানুষের আবেগ বা অনুভূতিতে আঘাত লাগে তারা আসলে মানসিক প্রতিবন্ধী।’’
সোহেল রানা বাবু লিখেছেন, ‘‘যদি সত্যি সে কুরআন অবমাননা করে থাকে তাহলেও এভাবে হত্যা করাটা অন্যায়। কারণ তাকে মারার আগে সেও নামাজ পড়েছে। কোনটা সত্য আল্লাহ ভালো জানেন।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন