ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে অভিবাসীদের জন্য কঠোর বাছাই প্রক্রিয়া প্রণয়ন এবং উগ্র ইসলামবিষয়ক কমিশন গঠন করবেন। গত সোমবার ওহাইয়োতে দেয়া বক্তব্যে ট্রাম্প এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে দেয়া ওই বক্তব্যে ট্রাম্প ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তার মতে, প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নীতির কারণেই জিহাদিদের উত্থান হয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করতে চায় এমন যে কোনো দেশের সঙ্গে তিনি কাজ করতে চান। আমরা ন্যাটোর সঙ্গে এই নতুন লক্ষ্য নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব। ট্রাম্প বলেন, মার্কিন মূল্যবোধে বিশ্বাস করে এবং সেখানকার মানুষকে সম্মান করে শুধুমাত্র এমন ব্যক্তিদেরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া উচিত।
এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বৈদেশিক নীতির বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো ধারণাই নেই। তিনি বলেন, ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করতে চায় এমন যেকোনো দেশের সাথে তিনি কাজ করতে চান। তার পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত আছে এমন দেশ থেকে ভিসা দেয়া বন্ধ করা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের আবেদনকারীদের জন্য আদর্শগত একটি পরীক্ষা। হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণায় এক সমাবেশে বাইডেন বলেন, রিপাবলিকান প্রার্থীর উদ্ভট মন্তব্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে আগের চেয়ে কম নিরাপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্পকে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তার বৈদেশিক নীতি বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা নেই এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানার আগ্রহও নেই। এর আগে এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং হিলারি ক্লিনটনকে আইএসের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বর্ণনা করায় ট্রাম্পকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। বিবিসি, আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন