বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সকল সংস্থার সদস্যদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনার দাবি

সংসদে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

মাদকাসক্তদের চিহ্নিত করতে পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট শুরুর বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারি বেসরকারি সকল সংস্থার সদস্যদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে ডোপ টেস্ট-এই মুহূর্তে করণীয় শীর্ষক মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তারা এই আহবান জানান। শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস এবং সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আহসানুল জব্বার। সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন পার্লামেন্ট নিউজ-এর সম্পাদক সাকিলা পারভীন ও একাত্তর টিভির বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের ডোপ টেস্ট শুরু হয়েছে। গাড়ি চালকদের ডোপ টেস্ট শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট শুরুর কার্যক্রম চলছে। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনতে হবে। এতে মাদকের চাহিদা কমবে। ফলে দেশে মাদকের প্রবেশও কমবে। তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কমিটিতে মাদকাসক্তদের রাখতে দেইনি। এটা সারাদেশে করতে হবে। পুলিশ সদস্যরাও মনে করেন, শুধু তাদের কেন সকল সংস্থার সদস্যদের ডোপ টেস্ট করানো হোক।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তারপরও বলব, মাদক নির্মূলে আমরা বসে নেই। আমরা চেষ্টা করছি, কিভাবে মাদকের থাবা থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করা যায়। তিনি আরো বলেন, দেশে মাদকের চাহিদা কমলে যোগানও কমে যাবে। তাই সন্তানরা যাতে মাদকাসক্ত না হয়ে পড়ে সেজন্য অভিভাবকদের সচেতন হওয়া দরকার। সকলে সচেতন হলে মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব হবে।
স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা বলেন, মাদক পাচার, বেচাকেনার ক্ষেত্রে নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। বাবা মা খবর রাখছেন না, ছেলে-মেয়ে কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে যাচ্ছে, কি করছে? ব্যস্ততার কারণে বাবা-মা ছেলে মেয়েদের সময় দিচ্ছেন না।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, দেশে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। প্রতিবছর মাদকের পেছনে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে শিশু ও নারীদের মধ্যে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ইয়াবা ছেলেদের মতো মেয়েরাও অবলীলায় গ্রহণ করছে। বিগত ১০ বছরে মাদকাসক্তির কারণে দুইশ’ মা-বাবা খুন হয়েছেন।
প্রবন্ধে বলা হয়, প্রতিদিন গড়ে তাদের ১৫০ টাকার মাদক লাগে। এই হিসেবে একজন মদকাসক্ত বছরে ৫৪ হাজার ৭৫০ টাকার মাদকের জন্য ব্যয় করে। দেশে ২৫ লাখ মাদকাসক্ত ধরা হলে তারা বছরে ১৩ হাজার কোটি টাকার মাদক সেবন করে। এসব মাদকের পুরোটাই অবৈধভাবে দেশে আসছে। আর পাচার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন