বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কোরআন পোড়ানোর গুজবের রহস্য কী

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

‘এই নিয়েছে ঐ নিলো যাঃ! কান নিয়েছে চিলে/চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে/কানের খোঁজে ছুটছি মাঠে, কাটছি সাঁতার বিলে/আকাশ থেকে চিলটাকে আজ ফেলব পেড়ে ঢিলে’ (শামসুর রাহমান)। ‘পন্ডশ্রম’ নামের এই কবিতায় বাঙালির গুজবে কান দেয়ার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই কবিতার মতোই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহীদুন্নবী জুয়েল হত্যা করে চেলাকাঠ-পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তবে কবিতার চিলের পিছে কানের খোঁজে ছোটার সঙ্গে শহীদুন্নবী জুয়েল হত্যা ঘটনার তুলনা চলে না। চিলের পিঠে ছোটা বোকামি। কিন্তু জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর পুড়িয়ে মারা ভয়ঙ্কর অপরাধ। এই ঘটনাকে লোমহর্ষক, পৈশাচিক, মর্মান্তিক, নিষ্ঠুরতা, বেদনাদায়ক, হৃদয়বিদারক শব্দগুলো উদাহরণ হিসেবে জুতসই। লালমনিরহাটের বুড়িমারীর ঘটনা সারা দেশের মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তোলপাড় ও প্রতিবাদের পাশাপাশি ধিক্কার দেয়া হচ্ছে। এর আগে দেশে কখনোই মসজিদে কোরআন অবমাননা করার গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেনি। ফলে সাধারণ মানুষ তো বটে; আলেম সমাজও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞানের বদৌলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ব্লগ, টুইটার শক্তিশালী গণমাধ্যম হয়ে উঠেছে। এসব মাধ্যমে তথ্যের অবাধ আদান প্রদান হচ্ছে। এই সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে অপরাধের ঘটনাও কম ঘটছে না। ২০১৯ সালের ২১ জুলাই ছেলে ধরা গুজব ছড়িয়ে রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রানু নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে গুজব ছড়িয়ে নেত্রকোনায় একবাচ্চার মাথা কেটে ফেলার লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর, কক্সবাজারের বৌদ্ধ মন্দিরসহ অনেকগুলো হামলার ঘটনা ঘটেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে। প্রতিটি গুজব ছড়ানোর পর মানুষ সত্যমিথ্যা যাচাই না করেই হুজুগে রাস্তায় নেমে তান্ডব চালিয়েছে। এই গুজবকে কেন্দ্র করে কিছু সুযোগসন্ধানী মানুষ ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়েছে। বিভিন্ন সময় গুজব ছড়িয়ে নানা ধরণের অপকর্ম এবং সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। তবে আল্লাহর ঘর মসজিদের পবিত্র কোরআন অবমাননার গুজব ছড়ানোর ঘটনা অতীতে ঘটেনি।

বাংলাদেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি পৃথিবীতে উদাহরণ। মুসলিম-হিন্দু-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষ এক সঙ্গে বসবাস করেন। সাধারণ মানুষ ধর্মভীরু তবে ধর্মান্ধ নয়। সাধারণ আলেম-ওলামা, ইসলামী চিন্তাবিদ তথা ইসলামী স্কলাররা কখনোই উগ্রতাকে প্রশ্রয় দেননি। ইসলাম অবমাননা, বর্ণবাদ, যুদ্ধ-বিগ্রহসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন তোলপাড় আন্দোলন হয়েছে; তখন আমাদের আলেম সমাজ শৃঙ্খলার মধ্যে থেকেই মিছিল-প্রতিবাদ করেছে। তারা কোরআন ও হাসিদের আলোকে জীবন যাপনের কথা প্রচার করলেও কখনোই উগ্রতা পছন্দ করেন না। যার কারণে পশ্চিমারা যুগের পর যুগ ধরে বাংলাদেশের ওপর জঙ্গীবাদের তকমা দেয়ার চেষ্টা করেও সফল হয়নি।

কিছু সংগঠন ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে; বোমা মেরেছে, আন্তর্জাতিকভাবে দেশকে জঙ্গীবাদের স্বার্গভূমি হিসেবে চিত্রায়ণের চেষ্টা করেছে। কিন্তু দেশের আলেম-ওলামা এবং সাধারণ তৌহিদী জনতা উগ্রবাদীদের প্রশ্রয় দেয়নি। আলেম সমাজ প্রথম জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ করেছে। ইসলামী সভা-সমাবেশ ও জলসায় জঙ্গীবাদকে ইসলাম সমর্থন করে না প্রচার করেছেন। কার্যত সে কারণেই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গীবাদ দমনে নিরবচ্ছিন্ন অভিযান চালিয়ে সফল হয়েছেন।

আর লালমনিরহাট তো সারাবিশ্বের কাছে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির উদাহরণ। একশ বছর ধরে লালমনিরহাট শহরের কালীবাড়ি পুরান বাজার জামে মসজিদ ও কালীবাড়ী কেন্দ্রীয় মন্দির একই উঠানে। ভারতে বাবরী মসজিদ ভেঙে যখন মন্দির নির্মাণ করা হয়; তখন লালমনিরহাটে একই আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির। সময়মতো মসজিদে নামাজ হচ্ছে এবং নিয়মমাফিক চলছে পূজার আয়োজন। বিরল এই সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির নজির যে লালমনিরহাটে সেখানে মসজিদে কোরআন পোড়ানোর গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যা করে পুড়িয়ে ফেলার পৈচাসিক ঘটনা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।

আগেই বলেছি বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু; কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্বের কোথাও কিছু ঘটলে তারই প্রতিবাদে মসজিদে নামাজ শেষে বের হয়ে মুসুল্লিরা মিছিল করেন; বিচারের দাবি জানান। এটা সারাবিশ্বেই হয়ে থাকে। কিন্তু মসজিদ থেকে হুজুগ এবং গুজব সৃষ্টির ঘটনা কখনো ঘটেনি। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারীতে গণপিটুনিতে শহীদুন্নবী জুয়েলের নিহত এবং লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনার প্রকৃত রহস্য খুঁজে বের করা উচিত। তবে আশার কথা হলো ঘটনার পর সরকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও আলেম সমাজ, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের নিয়ে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে প্রশাসন স্পর্শকাতর বিষয়টি সুরাহার লক্ষ্যে সবার সহায়তা চেয়েছেন। আলেম সমাজও ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীর বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

ইতোমধ্যেই প্রশাসন থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় মানবধিকার কমিশন এতোদিন ঘুমিয়ে থাকলেও লালমনিরহাটের ঘটনা তদন্ত করে দাবি করেছে ‘জুয়েল কোরআন অবমাননা করেনি। তার বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়ানো হয়েছে।’ মিডিয়াগুলোতে খবর বের হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করে জানিয়েছে ‘নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। চাকরিচ্যুত হওয়ায় তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। জুয়েল কোরআন অবমাননা করেননি’।

লোমহর্ষক হত্যাকান্ড নিয়ে নিহতের পরিবার, বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা এখনো তদন্তাধীন। আমাদের প্রত্যাশা প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসুক। পরিকল্পিতভাবে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে; নাকি হঠাৎ ঘটেছে তা পরিস্কার হওয়া উচিত। নেপথ্যে থেকে কেউ জনতাকে উষ্কে দিয়েছে কি-না সেটাও দেখা উচিত। একই সঙ্গে রংপুর শহরের জুয়েল কেন বুড়িমারীতে এলো? তাকে মারধরের সময় সঙ্গী তাকে রক্ষার চেষ্টা করেছে কি-না? বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আফিজ উদ্দিন হঠাৎ কেন ক্ষিপ্ত হলেন? আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি হঠাৎ করে কেন তাকে মারধর করল? নিহত জুয়েল কোরআন অবমাননা করেছে কি-না? ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাফিজুল কেন জুয়েলকে দীর্ঘক্ষণ পরিষদে আটকিয়ে রাখলেন? দেরিতে কেন পুলিশকে খবর দেয়া হলো? বহিরাগত বিক্ষুব্ধ জনতা কার ডাকে এলেন? গুজব ছড়িয়ে হত্যাকান্ডের নেপথ্যে কারও ইন্ধন আছে কি না এসব বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। সৌহার্দ্য সম্পৃতির এই দেশে মসজিদ থেকে কোরআন পোড়ানোর গুজব ছড়ানোর রহস্য উদ্ঘাটন হওয়া প্রয়োজন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (14)
Hafez Md Yusuf Hasan ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
# এমন একটি উত্তাল সময়কে ওরা কুরআন অবমাননার জন্য বেছে নিল কেন? # কুরআন অবমাননা মসজিদে গিয়েই করতে হবে কেন? # নামাজ শেষে ও মুসুল্লিদের চোখের সামনে অবমাননা করে মুসুল্লিদের ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষেপিয়ে তোলা হল কেন? # একজন মরে গেল, আরেকজনের স্বীকারোক্তি জনসম্মুখে আনা হচ্ছে না কেন? # প্রতিবাদে কেবল পুড়ানোটাকেই হাইলাইট করা হচ্ছে কেন? ইচ্ছাকৃতভাবে মুসুল্লীদের ক্ষেপিয়ে তোলার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে না কেন? # অবমাননার কাজটি ঘটানোর জন্য লালমনিরহাটের মতো প্রত্যন্ত একটি অঞ্চলে অশিক্ষিত জনপদের গ্রামের মসজিদকে বেছে নেয়া হল কেন? এর পিছনে কারা আছে, কী উদ্দেশ্যে এমন সংকটময় মুহুর্তে মুসুল্লিদের নাস্তিকের পেছনে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে, এগুলো খুঁজে বের করা হোক ৷ এরা ইসলামের শত্রু৷ আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের শত্রু ৷ আপনিও প্রশ্ন তুলুন ৷ #we_love_mohammad_ﷺ_challenge #Boycott_French_Products #সাল্লাল্লাহু_আলাইহি_ওয়া_সাল্লাম
Total Reply(0)
Helal Ishaq ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪১ এএম says : 0
লালমনিরহাটে যাকে আগুনে পোড়ানো হয়েছে সে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো কিন্তু তার সাথে যে ছিলো সে ও কি মানসিক ভারসাম্যহীন ? তাহলে কেন তা হাইলাইট করা হচ্ছে না ?
Total Reply(0)
Mushahid Ahmod ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪২ এএম says : 0
মর্মান্তিক! এভাবে একজন মানুষকে মারা যায়! দিনদিন আমরা কতো অমানবিক হয়ে যাচ্ছি।
Total Reply(0)
Shishir Ahmed ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪৩ এএম says : 0
আগুনে পুড়িয়ে কাউকে শাস্তি দিতে আল্লাহ নিষেধ করেছে কারন আগুনে মধ্যে মানুষ শাস্তি দিবে এক মাত্র আল্লাহ। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ইসলাম কোনদিনও সমর্থন করে না।
Total Reply(0)
Zeesan Mahmud ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪৪ এএম says : 0
এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।। ধর্মের নামে কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেনা।। ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ পিটিয়ে মারার অনুমতি ধর্ম কাউকেই দেয়নি।। এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত করে, অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হউক।।।
Total Reply(0)
Abu Faria ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪৫ এএম says : 0
এটা নতুন নাটক, অন্যকোন ঘটনাকে ধর্ম অবমাননা নাম দিয়ে আসল ঘটনা আড়াল করা হচ্ছে।এখন পর্যন্ত স্থানীয় জনগন বা প্রশাসন ধর্মীয় অবমানার কথা বলে নাই,এমনকি মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিনের কোন সাক্ষাতকার দেয়নাই,... কিছু চাংবাদিক ছাড়া।।।
Total Reply(0)
Md Alomgir ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 0
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, একদিন এক বেদুইন দাঁড়িয়ে মসজিদে প্রস্রাব শুরু করল। উপস্থিত লোকজন দেখে তাকে বাধা দিতে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রিয় নবী (সা.) তাদের বললেন, ওকে ছেড়ে দাও। ওর প্রস্রাব শেষ হলে এক বালতি পানি ঢেলে দিয়ো। নিশ্চিতভাবে জেনে রেখো, তোমাদের সহজ ও বিনয়ী আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়েছে, কঠোরতা বা উগ্রতার জন্য পাঠানো হয়নি। (বোখারি শরিফ: ২২০)
Total Reply(0)
Md Rakib Hasan ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 0
দেশব্যাপী ঈমানী আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার জন্য ষড়যন্ত্রের অংশ এবং মুসলমাদেরকে বিশ্বে উগরো হিসাবে পরিচিতি করানোর বহিঃপ্রকাশ মাএ।
Total Reply(0)
Abdul Mojid ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 0
ধর্ম অবমাননা যেমন দণ্ডনীয় অপরাধ তেমনি বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডও একটা দণ্ডনীয় অপরাধ। এরকম হত্যা ইসলাম কখনো সমর্থন করেনা,এতে করে উল্টো ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে....!!!
Total Reply(0)
অজিত চন্দ্র পাল ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪৮ এএম says : 0
চিলে কান নিয়েছে, এখন কানে হাত না দিয়েই কি চিলের পেছনে দৌড়তে হবে!! ধর্ম অবমাননার অভিযোগটা তো মিথ্যাও হতে পারে! যদি এমন হয়, কোন কারণে প্রতিপক্ষ লোকটিকে ফাঁসাতে এই নাটক সাজিয়েছে, আর ধর্মপ্রাণ মানুষগুলো স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে কোন কিছু না ভেবেই লোকটাকে ক্ষোভ থেকে মেরেই ফেললো! যেমনটা পথে ঘাটে কাউকে ফাঁসাতে পকেট মার/মোবাইল চোর বলে গণধোলাই করে প্রতিশোধ নেয় কিছু মানুষ।।
Total Reply(0)
Arman Ali ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪৮ এএম says : 0
কি বর্বর অমানসিক কাণ্ড !মানসিক বিকারগ্ৰস্ত একপাল মানুষ !কি নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করতে পারলো একজন লোককে !চরম অবনতি ঘটেছে মানুষের চরিত্র,স্বভাব আর মানসিকতার !এক পাল মানুষ নামের জীব কখন কাকে কি ভুলে গলা কেটে ফেলে,মোব লিঞ্চিং করে তার নিশ্চয়তা নাই !!কি হবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের ?বেচে থাকতে পারবেতো ?
Total Reply(0)
Naeem Rahman ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪৯ এএম says : 0
দেশের মানুষ দিন দিন চরম বর্বর হয়ে উঠছে। অনেক বাঙালির ইসলামের বেসিক জ্ঞান নাই, প্রতি নিয়ত বিদাত করে চলছে তার কোনো খবর নাই. কিন্তু কিছু একটা হলেই সেইখানে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে.
Total Reply(0)
Nefertiti Nipa Afroz ২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৫০ এএম says : 0
যেখানে কল্লা কাটা গুজবে নিজের বাচ্চার সামনেই সুস্থ স্বাভাবিক একজন মা খুন হয় গণপিটুনিতে সেখানে মানসিক ভারসাম্যহীন কাউকে ধর্ম অবমাননার গুজবে মেরে ফেলাতো এই দেশের মানুষের কাছে মামুলি ব্যপারা।
Total Reply(0)
مد إمام حسين ২ নভেম্বর, ২০২০, ৮:২০ এএম says : 0
নিহতের বেঁচে যাওয়া সঙ্গীর সত্যনিষ্ঠ বক্তব্য, ইমাম মুয়াজ্জিন ও খাদেম সাহেবের বক্তব্য,এবং প্রার্থমিক পর্যায়ে নিহতকে আশ্রয়দাতা সহ প্রথমকাতারের সকল মুসল্লীদের পরিস্কার বক্তব্যের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন