কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছেন তার স্ত্রী ও স্বজনরা। আহত ওই কলেজ শিক্ষকের নাম সোহরাব হোসেন সোহেল (৪৮)। সোহরাব মহিষকুন্ডি ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চার শিক্ষক। আহত অবস্থায় বর্তমানে তিনি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শরীরে অসংখ্য জখম নিয়ে হাসপাতলে ভর্তি হওয়া কলেজ শিক্ষক সোহরাব হোসেন সোহেলের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী রেবেকা পারভীন লিপি, স্ত্রীর ছোট ভাই একরামুল হক, বোন জামাই খালেকসহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাকে বেধড়ক মারপিট করেছেন। এ সময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি পেটানো হয় বলেও জানান তিনি। ওই শিক্ষকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সুযোগ বুঝে তাদের হাত থেকে পালিয়ে তিনি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি প্রথমে কিছু বলতে না চাইলেও হাসপাতালের চিকিৎসক ও উপস্থিত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার ওপর নির্যাতনের প্রকৃত ঘটনা খুলে বলেন। তিনি বলেন, গত ৩০ অক্টোবর তার বড় মেয়ের বিয়ে হয়। আর্থিক অনটনের কারণে ঋণ করে তিনি মেয়ের বিয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী তার ভাইদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে তাকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন।
ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে উল্টো ওই কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। আত্মসম্মানবোধ আর চক্ষু লজ্জার ভয়ে তিনি বিষয়টি কাউকে না বলে সোমবার রাত ১১টার দিকে গোপনে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এসে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই কলেজ শিক্ষকের শরীরে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে । কিছু আঘাত গুরুতর। তাকে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় এখনও মামলা হয়নি জানিয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শুনে আমরা ওই শিক্ষকের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তাকে থানায় এসে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন