পটুয়াখালীত দুই লঞ্চের স্টাফদের হাতে পটুয়াখালী নদী বন্দরের কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় দুই লঞ্চের ৪0 জন স্টাফের বিরুদ্ধে সদর থানায় জিডি করেছেন বন্দর কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান।
লঞ্চ যাত্রী উঠানো নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে গত সোমবার বিকেলে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের চলাচল কারি ডাবল ডেকার এমভি আওলাদ -৭ ও এমভি সত্তার খান -১ খান লঞ্চের স্টাফদের হাত লাঞ্ছিত হন তিনি।
বিআইডব্লিটিএর সহকারী পরিচালক ও নদী বদর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান জানান, রোটেশন পদ্ধতি ভেঙ্গে যাওয়ায় সোমবার পটুয়াখালী থেকে পাঁচটি লঞ্চ ছেড়ে যায়।লঞ্চে যাত্রী উঠানোর জন্য লঞ্চের স্টাফরা যাত্রীদের হাত ধরে টানাটানি শুরু করে বিষয়টি তার কাছে অভিযোগ আকারে আসলে তিনি ওই কর্মকাণ্ড থেকে বিরত হওয়ার জন্য লঞ্চ স্টাফদের নির্দেশ দেন। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার সামনে যাত্রীদের টানা শুরু করে বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক ফাঁড়ি ইনচার্জ কে অবহিত করলে দুটি লঞ্চের স্টাফরা তাকে ঘিরে ধরে। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি ঘটলে পুলিশ তাকে সেখান থেকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে সরিয়ে নেয় বলে তিনি জানান।বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক ও বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
সদর থানার ওসি আখতার মোর্শেদ বলেন, লঞ্চ স্টাফদের নামে বন্দর কর্মকর্তা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পরবর্তীতে লঞ্চঘাটে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা যাতে না ঘটে এবং যাত্রীদের সাথে কোন রকম অসৌজন্যমূলক আচরণ লঞ্চ স্টাফরা না করতে পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে, এছাড়াও আমাদের সার্বক্ষণিক তদারকি রয়েছে লঞ্চঘাটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন