নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামে আমীর হামজা (৩) নামের শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে লোমহর্ষক চাঞ্চল্যকর তথ্য। হত্যাকান্ডে জড়িত জুনাইদ মিয়া (১৮) ও তার বোন রুজি বেগম (২৩) কে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। সূত্র বলছে, দুই শিশুর ঝগড়া ও মারামারির জের ধরেই ক্ষোভে বালিশে চাপা দিয়ে হত্যা করা হয় আমীর হামজাকে।
গত মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারকৃত জুনাইদ মিয়া (১৮) ও তার বোন রুজি বেগম (২৩) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জুনাইদ ও রুজি উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের আকলিছ মিয়ার ছেলে ও মেয়ে। জানা যায়, উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের আব্দুর রশীদের একমাত্র পুত্র সন্তান শিশু আমীর হামজা তার চাচাতো বোন রুজি বেগমের ৩ বছর বয়সী মেয়ের সাথে খেলাধুলায় মেতে থাকতো। এই দুই শিশুর মাঝে প্রায়ই ঝগড়া হত। প্রায়ই খেলার ফাঁকে রুজি বেগমের মেয়েকে মারধর করত হামজা। মেয়েকে মারধরের কারণে চাচাতো ভাই শিশু হামজার উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন রুজি বেগম ছোট ভাই জুনাইদকে নিয়ে হামজাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার সন্ধ্যায় আমীর হামজাকে ডেকে নেয় হামজার চাচাতো ভাই আকলিছ মিয়ার পুত্র জুনাইদ মিয়া। এরপর রুজি ও জুনাইদ শিশু আমীর হামজাকে কৌশলে বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে শিশু হামজার দেহ গাড়ির গ্যারেজে মুখে কস্টেপ দিয়ে পেছানো অবস্থায় ফেলে রাখা হয়।
পরে হামজার পরিবারের সদস্যরা হামজাকে জুনাইদ ও রুজির পিতা আকলিছ মিয়ার গাড়ির গ্যারেজে মুখে কস্টেপ পেছনো অবস্থায় নিথর লাশ উদ্ধার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন