বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে

ইসলাম প্রচার প্রসারে মতবিনিময় সভায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

এদেশে ইসলাম প্রচার-প্রসারে দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক মন্ত্রী ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ মাওলানা এম এ মান্নানের (রহ.) এর অবদান অবস্মরনীয় হয়ে থাকবে। মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে অভাবনীয় অবদান রেখে গেছেন। দ্বীনের একজন বড় রাহবার ছিলেন আলহাজ মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)। আজকের চলমান সঙ্কটের দিনে আলহাজ মাওলানা এম এ মান্নানের মতো ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন ছিলো। মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান জীবিত থাকলে নাস্তিক-মুরতাদরা নবী (সা.) কে অবমননা করার সাহস পেতো না।

গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র সঙ্কট নিরসনে আমাদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলমানদের দুশমান ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন এবং দেশটি সকল পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিতে হবে। মহানবী (সা.) কে অবমাননার প্রতিবাদে ফরাসি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ধিক্কার জানাতে হবে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সভাপতি মুফতি মো.ওয়াক্কাসের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাইখুল হাদিস মাওলানা গোলাম মুহিউদ্দিন ইকরাম, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা আলতাফ হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান,আমরা ঢাকাবাসীর সভাপতি আলহাজ জামাল নাসের চৌধুরী, জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা প্রিন্সিপাল মাওলানা বেলায়েত হোসেন আল-ফিরোজী, এনডিপি’র মহাসচিব মনজুরুল ইসলাম ইশা, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মুফতি জিয়াউল হক মজুমদার, মাওলানা শহিদুল ইসলাম আনসারী, মাওলানা রশিদ আহমদ ফেরদৌস ও মাওলানা ওবায়দুল হক। নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী (সা.)কে অবমাননায় বিশ্ব মুসলিম চরমভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশসহ মুসলিমবিশ্বকে ফরাসি পণ্য বর্জন করতে হবে। মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সরকার হয়েও বাংলাদেশ আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা না জানানোর জন্য হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ অভিলম্বে সরকারকে তীব্র নিন্দা জানানোর আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি মো. ওয়াক্কাস বলেন, মহানবী (সা.) এর ইজ্জতের ব্যাপারে প্রতিবাদ জানানো ঈমানী দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, নবীপ্রেমের স্বাক্ষর রাখতে গিয়ে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ইহুদি-খ্রিস্টানদের তল্পিবাহক হওয়া যাবে না। মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, ঈমানের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সরকারকে অবিলম্বে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা জানাতে হবে। নারী নির্যাতন ধর্ষণ বন্ধে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিতে হবে। মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার-প্রসারে ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক মন্ত্রী মরহুম আলহাজ মাওলানা এম এ মান্নানের অবদান অবস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান মাদরাসার শিক্ষার উন্নয়ে অভাবনীয় অবদান রেখে গেছেন। তিনি বলেন, আজকের জাতীয় সঙ্কটের দিনে মরহুম মাওলানা এম এ মান্নানের মতো ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন ছিল। তিনি আজ জীবিত থাকলে নাস্তিক-মুরতাদরা ইসলামের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিতে সাহস পেতো না।

লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, আলহাজ মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) দ্বীনের একজন বড় রাহবার ছিলেন। মরহুম মাওলানা এম এ মান্নানের (রহ.) নেতৃত্বে সারাদেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের ওসমানী মিলনায়তনে যে সর্বদলীয় ঐক্যের সমাবেশ হয়েছিল সে ধরনের আর কোনো উদ্যোগ আজো চোখে পড়েনি। মরহুম এম এ মান্নান (রহ.) দেশ জাতি ও ইসলামের একজন কান্ডারি ছিলেন। মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, আলেম ওলামাদের মাঝে এখতেলাফ দিন দিন বাড়ছে। এখতেলাফ থেকে বাঁচতে হবে। মানুষকে ইসলামের পথ শান্তিরপথ এবং মুক্তির পথ দেখাতে হবে। তিনি বলেন, মুসলমানদের উগ্র চরমপন্থি বানানোর জন্য একটি চক্র ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। লালমনির হাটে খুন এবং কুমিল্লার ঘটনা তাই প্রমাণ করে। তিনি বলেন, ফ্রান্স শুরু থেকেই মুসলমানদের দুশমন। ফ্রান্স আলজেরিয়ায় ১০ হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছে। দেশটিতে ৭০টি মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে এসব মসজিদ খুলে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন