কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ইয়াছিন মোল্লা (২৫) নামের এক যুবকের যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদন্ড ও দেড় লাখ টাকা অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত ইয়াছিন মোল্লা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চরখাজুরা গ্রামের মৃত ইছাহাক মোল্লার ছেলে। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে ভেড়ামারার বাহাদুরপুর মাফের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলগেটের সামনে থেকে আসামি ইয়াছিন মোল্লা অজ্ঞাত সহযোগিদের সাহায্যে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ২১ সেপ্টেম্বর অপহরণের অভিযোগে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন। অপহরণের এক মাস পর ঝিনাইদহে আসামির বোনের বাড়ি থেকে ভিকটিম স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু জামিনে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে আসামি। এদিকে মামলাটি তদন্ত শেষে অপহরণসহ শিশু ধর্ষণের অভিযোগ এনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৭, ৯(১) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. আব্দুল হালিম জানান, মামলাটির চার্য গঠন ও শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ইয়াছিন মোল্লাকে শিশুধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) এবং শিশু অপহরণ দায়ে আরও ১৪ বছরের কারাদন্ডসহ ১ লাখ টাকা এবং ৫০ হাজার টাকাসহ মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৯ মাসের দন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি ইয়াসিন মোল্লা পলাতক ছিলেন বলেও জানান এই সরকারি কৌঁসুলি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন