৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। এই দিনটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে আমাদের অস্তিত্ব এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মন্তব্য করে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রক্ষা পেয়েছিল আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র।
শনিবার (৭ নভেম্বর) নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর শুধুই স্বাধীনতা নয়, এদেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির দুয়ার উন্মোচিত হয়। দেশের আপামর জনতার ইস্পাত কঠিন ঐক্যের কারণেই সম্ভব হয়েছিল দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে এদেশের মাটি ও মানুষকে রক্ষা করা। এর পেছনে ছিল দেশপ্রেমের চেতনা।
তিনি আরো বলেন, দেশ ও জাতি আজ চরম সংকটে আবর্তিত। গণতন্ত্র নির্বাসিত। সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলীতে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষ পাখির মতো প্রতিনিয়ত নিহত হচ্ছে। অথচ সরকার নীরব। এক দলীয় শাসন জাতির বুকে জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে রয়েছে। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সংকোচিত। অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। দুর্নীতির সাগরে নিমজ্জিত আজ গোটা দেশটাই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। এই অবস্থায় ৭ নভেম্বরের সিপাহী জনতা বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার কোন বিকল্প নাই।
জাগপা ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. হোসেন মোবারকের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল আলম, কেন্দ্রীয় নেতা তোফায়েল আহমেদ, নগর সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনছুর আহমেদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন