রাশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা নিয়োগের পূর্ণ ক্ষমতা থাকছে প্রেসিডেন্টের কাছে, এমন একটি নতুন আইনের অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দ্য স্টেট ডুমা থেকে প্রধানমন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের তালিকা এলে তার অনুমোদন দেবেন প্রেসিডেন্ট। তবে স্টেট অব ডুমায় প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করতে হবে এবং নিম্নকক্ষ সেই নাম প্রত্যাখ্যান করলে নতুন নেতার নাম প্রস্তাব করতে হবে। তবে পরপর তিনবার স্টেট অব ডুমায় প্রধানমন্ত্রীর নাম প্রত্যাখ্যাত হলে নিম্নকক্ষের অনুমোদন ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারবেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
এ আইনে আরো বলা হচ্ছে, পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ দ্য ফেডারেশন কাউন্সিল থেকে প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নাম সুপারিশ করা হলে তার অনুমোদন দেবেন প্রেসিডেন্ট। যদিও নামের তালিকা পাঠাতে হবে প্রেসিডেন্টকেই।
অপর এক খবরে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন- এমনটি জানিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন ক্রেমলিন। শুক্রবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম খবর ছড়িয়ে পড়ে যে পারকিনসন রোগে আক্রান্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। আর এ জন্য আগামী বছরের শুরুতেই দায়িত্ব ছাড়তে পারেন তিনি। এ নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানান, যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তা খারিজ করছে প্রেসিডেন্টের অফিস। এ ধরনের খবরের কোনও ভিত্তি নেই। প্রেসিডেন্ট পুতিন একেবারেই সুস্থ।
এর আগে লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি মেইল পত্রিকা এক প্রতিবেদনে লিখেছে, মস্কোর নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করেছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজের সম্ভাব্য পারকিনসন্স রোগের কারণে আগামী জানুয়ারি মাসেই ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবেন। এর আগে গত সপ্তাহে খবর বেরিয়েছিল যে, রাশিয়ায় এমন একটি আইন তৈরি করা হচ্ছে যার ফলে ভøাদিমির পুতিন আজীবন সিনেটরের মর্যাদা লাভ করবেন। আইনটির খসড়া খোদ পুতিন তৈরি করেছেন যেখানে বলা হয়েছে, তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আইনগতভাবে সব ধরনের দায়মুক্ত থাকবেন এবং সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রাশাটুডে এ আইনের সূত্র ধরে বলেছে, দেশটিতে সম্ভবত শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। রাশিয়ায় এর আগেও প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্ভাব্য পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। কোনো কোনো সূত্র পুতিনের দুই হাতের অসংলগ্ন নড়াচড়া এবং তার ডান হাতের শক্তি কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেছে, পুতিন সম্ভবত পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিশেষ করে হাত-পা কাঁপতে থাকে। এর ফলে হাঁটাচলাতেও সমস্যার সৃষ্টি হয়। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য এ পারকিনসন্স বর্তমানে বড়ো ধরনের হুমকি হয়ে উঠেছে। এ রোগে আক্রান্ত অনেকেই হয়তো বুঝতেও পারেন না যে তারা পারকিনসন্সে আক্রান্ত হয়েছেন। সূত্র : আরটি, গার্ডিয়ান, পার্সটুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন