সামরিক শাসনের পর এটিই দেশটির দ্বিতীয় গণতান্ত্রিক সাধারণ নির্বাচন। দেশটির ৯০টি দল আজ ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ভোটার প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ, এর মধ্যে ৫০ লাখ নতুন ভোটার। সোমবার সকালে ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে। নির্বাচনে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মতো বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ ও প্রার্থীতার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। -বিবিসি, আল জাজিরা, ডয়েচে ভেলে
মানবাধিকার গোষ্ঠি এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে, বর্ণবাদী এই নির্বাচন দেশটিতে নতুন করে সহিংসতা বাড়াবে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৫ সালের মতো এবারও অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন। তবে বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করা এবং সন্তানের বিদেশী নাগরিকত্ব থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না সু চি। ২০১৫ সালেও নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ‘স্টেট কাউন্সিলর’ এর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের সেনা সংশোধিত সংবিধানে পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর জন্য ২৫ শতাংশ আসন রাখা হয়েছে, যা আটকে দিয়েছে সংবিধান সংস্কারের পথ। বিবিসি বলছে, সু চি রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সপক্ষে কথা বলে দেশের অভ্যন্তরে জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছেন। সু চির দলের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যায় মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন