গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে গতকাল ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রোজিনা বেগম নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব পাড়া গ্রামের (যৌনপল্লী) সুমন মন্ডলের স্ত্রী।
উদ্ধার হওয়া তরুণী জানায়, সে নাটোর জেলার হতদরিদ্র কৃষকের মেয়ে। বেশ কিছুদিন আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার এক লোকের সাথে কথা হয়। পরিবারের অভাব অনটনের বিষয়টি তার কাছে খুলে বলে সে। এক পর্যায়ে ওই লোক তাকে গার্মেন্টসে ভালো বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। চলতি বছর মার্চ মাসে ট্রেনে করে নাটোর থেকে গোয়ালন্দ ঘাট রেলস্টেশনে আসতে বলেন। চাকুরির আশায় তার কথা মত সে গোয়ালন্দ ঘাট স্টেশনে যায়। কিন্তু তখন ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ পেয়ে হতাশ হয়ে রেলস্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকে। এসময় রোজিনা বেগম তার নাম ধরে ডেকে বলে তোমার চাকরির জন্য আমার সাথে যেতে হবে। রোজিনা তাকে সাথে করে নিয়ে যৌনপল্লীর একটি ঘরে আটকে রেখে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। সেখান থেকে বিভিন্ন সময় পালানোর চেষ্টা করলেও কড়া পাহাড়ায় সে ব্যর্থ হয়। এ পরিস্থিতিতে গতকাল ভোর রাতে সে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়।
কিছুদুর যাওয়ার পর তার পিছু নেয় রোজিনা। এসময় সে চিৎকার চেচামেচি করলে স্থানীয় লোকজন ও যৌনপল্লীর অদূরে কর্তব্যরত পুলিশ তাকে উদ্ধার ও রোজিনা বেগমকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া তরুণী বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছে। গ্রেফতার রোজিনা বেগমকে রাজবাড়ী আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন