‘আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শুভ্র হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, জনগনের ভোটে টানা দুইবার মেয়র হয়েছি। এতে একটি মহলের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। আর এ কারণেই আসন্ন পৌরসভার নির্বাচন থেকে আমাকে সরিয়ে রাখার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শুভ্র হত্যা মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মানুষের ভালোবাসার জন্য আমার রাজনীতি করি, অস্ত্রের রাজনীতি করি না। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। গৌরীপুরের জনগণ সব দেখেছেন। তারা জানেন কে বা কারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে এবং করছে। আমি বিশ্বাস করি জনগণের ভালোবাসার দোয়া আমার সাথে আছে। আল্লাহ বিচার করবেন। গতকাল স্থানীয় সাংবাদিক সাথে এক প্রতিক্রিয়ায় পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর শুভ্র হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামি হবার পর টানা ১৮ দিন আত্মগোপনে ছিলেন সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। এরপর গত ৫ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন গত ৭ অক্টোবর গৌরীপুরে ফিরেন তিনি। এ খবরে মেয়র সমর্থকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ সময় শত শত নারী-পুরুষ তার সাথে দেখা করার জন্য বাড়ীর সামনে অবস্থান নেন।
সূত্রমতে, শুভ্র হত্য মামলার ১১ নং আসামি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বর্তমান গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি। তবে দলীয় সূত্রের দাবি, শুভ্র হত্যাকন্ডেের ঘটনায় গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় দফতরে চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ পাঠিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে সৈয়দ রফিকের বহিষ্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। তিনি জানান, বহিষ্কারের সুপারিশ কপি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, শুভ্র হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ১৯ অক্টোবর ১৪ জনের নাম উল্লেখ মোট ২২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন