যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সব গণমাধ্যম জানাচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২৭০ ইলেক্টরালের লক্ষ্যমাত্রা পার করে বাইডেন পেয়েছেন ২৯০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪ ভোট। খবর ফক্স নিউজের
নিজ দলের মধ্যে বিভক্তি ও বিরোধীতা ক্রমেই বাড়লেও ভোট জালিয়াতি এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলে এখনও অনড় অবস্থানে রয়েছেন রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতা ছাড়তেও নারাজ। এছাড়া কয়েকটি রাজ্যের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে স্থানীয় সময় আজ সোমবার থেকে পূর্ণাঙ্গ আইনি লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
এ অবস্থায় যদি শেষ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ক্ষমতা না ছাড়েন, তাহলে তাকে কীভাবে বিদায় করা হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও বিষয়টি তাদের মতো করে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছে গণমাধ্যমগুলো। তবে তখন যেভাবে বিদায় করা হবে, তা মোটেও সুখকর হবে না ট্রাম্পের জন্য।
জানা যায়, ১৮০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস ১৮০০ সালের নির্বাচনে জয়ী টমাস জেফারসনকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই একগুঁয়েমি করেছিলেন অ্যাডামস। তখন তাঁর অফিসই তাকে ছেড়ে যায়। ঘটনা ছিল এমন, জেফারসন শপথ নিলেও অনুপস্থিত ছিলেন অ্যাডামস। তখন হোয়াইট হাউসে যারা ছিলেন, তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্টের জিনিসপত্র তারা সরিয়ে নিতে শুরু করেন। অ্যাডামসই হোয়াইট হাউসের প্রথম বাসিন্দা ছিলেন। সেসময় তার জন্য সমস্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা তুলে নেয়া হয়, অফিশিয়াল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। কর্মচারীরা অ্যাডামসের নির্দেশনা গ্রহণ বন্ধ করে দেন। এভাবেই অ্যাডামস টের পান, তার আর কোন ক্ষমতা নেই।
এখন পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, দুশ’ বছর পরে সেই ঘটনা পুনরায় মঞ্চস্থ হতে চলেছে। তখন থেকেই হোয়াইট হাউসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিষয়টি মনে রেখেছেন। তারা প্রেসিডেন্টের পরাজয়ের খবর পৌঁছামাত্র নিজেদের সবকিছু গোছানো শুরু করেন। কারো নির্দেশের অপেক্ষা করেন না। এছাড়া ভোটের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রের স্বতন্ত্র অঙ্গগুলো নিজেদের কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুরু করে দেয়। সূত্র : ফক্স নিউজ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন