মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আমানতকারীদের টাকা আত্মসাৎ

নওগাঁয় জাতীয় সঞ্চয় বিভাগ ১১১ জন কাটাচ্ছেন দুর্বিষহ জীবন

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

নওগাঁয় জাতীয় সঞ্চয় অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্নীতিতে আমানতকারীদের প্রায় ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১১১ জন আমানতকারী নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। প্রায় সোয়া এক বছর অতিবাহিত হলেও তারা তাদের ত্রৈমাসিক লাভ এবং মূল টাকা কোনটিই উত্তোলন করতে পারছেন না। এর ফলে বয়োজ্জেষ্ঠ এসব ব্যক্তিরা তাদের সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দিনের পর দিন জাতীয় সঞ্চয় অফিসে ধর্ণা দিয়েও কোন সামাধান পাচ্ছেন না।
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো অফিস নওগাঁ’র এসব গ্রাহক কেউ সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে রশিদ দেখিয়ে সঞ্চয়পত্রের বই সংগ্রহ করেছেন আবার কেউ সরাসরি সঞ্চয় অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে সঞ্চয়পত্রের বই সংগ্রহ করেছেন। তাদের কেউ কেউ কমপক্ষে ত্রৈমাসিক লাভের ৩ বার আবার কেউ কেউ ১০ বার টাকাও তুলেছেন। এর পর এদের মধ্যে ৬২ জন গ্রাহক জানতে পারেন তাদের টাকা জমা দেয়ার রশিদ ভুয়া। আবার ৪৯ জন গ্রাহককে জানিয়ে দেয়া হয় যে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারী কোষাগারে তাদের টাকা জমাই দেয়া হয় নি।
বিষয়টি জানাজানি হলে রাজশাহী বিভাগীয় দুদক অফিস থেকে তদন্ত শেষে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ওই অফিসের সহকারী পরিচালক, অফিস সহকারী, অফিস সহায়কসহ ৪ জনকে গ্রেফতারও করে দুদক। বর্তমানে তারা সকলেই জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
আমানতকারীদের মধ্যে ৪৩২/১৮ মোতাবেক আমানতকারী ৫ লাখ টাকা, ৪৬৪/১৮ মোতাবেক আমানতকারী ড. আবু সালেহ মো. মুসা ২ লাখ টাকা এবং ১২৯/১৮ মোতাবেক আমানতকারী মো. মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন তারা ১১১ জন গ্রাহক গত ২০১৯ সালে জুন মাসের পর থেকে ত্রৈমাসিক লভ্যাংশ কিংবা মূল টাকা কোনটাই ফেরত পাচ্ছেন না। গ্রাহকদের অধিকাংশ সরকারী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই লভ্যাংশ দিয়েই তাদের সংসারের ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে।
ফলে লভ্যাংশ না পেয়ে খেয়ে না খেয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। সবশেষে তারা অতি সম্প্রতি জাতীয় সঞ্চয় অফিসের সামনে ভুক্তভোগি গ্রাহকরা একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এ ব্যপারে বর্তমান সহকারী পরিচালক আসাদ্জ্জুামান বলেছেন, সঞ্চয় বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই ১১১ জনের হিসাব আপাতত স্থগিত করা রয়েছে। এ ব্যপারে দুনর্িিত দমন কমিশনের মামলা চলমান রয়েছে। মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যপারে তার কিছুই করার নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন