উজিরপুরের বরাকোঠা ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল আবু নছর মো. নেছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে উৎকোচ গ্রহণ ও কলেজ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিভিন্ন সরকারি দফতরে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. কামরুজ্জামান। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ও দুর্নীতি দমন কমিশন বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বরাকোঠা ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজে গ্রন্থাগারিকের শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রন্থাগারিক পদে ফারুক আহম্মেদ নামের একজনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদানের জন্য চুক্তি করেন প্রিন্সিপাল নেছার উদ্দিন। কিন্তু ফারুক আহম্মেদ চুক্তি মত অর্থ লেনদেন না করায় গত ১৫ ফেব্রয়ারি কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভায় ফারুক আহম্মেদের নিয়োগের বিষয়টি বাতিল করে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরই মধ্যে ফারুক আহম্মেদ প্রিন্সিপালের সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে চাহিদা মত টাকা দিলে ২৩ ফেব্রয়ারি পূর্বের রেজুলেশন বাতিল করে ২৪ ফেব্রয়ারি অবৈধভাবে ফারুক আহম্মেদকে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। অভিযোগে আরও জানা গেছে, ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কলেজের অভ্যন্তরীণ অডিট অনুযায়ী প্রিন্সিপাল নেছার উদ্দিন কলেজ তহবিলের প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির অনুক‚লে বোর্ড কর্তৃক কলেজকে প্রদত্ত টাকা নিজের ব্যক্তিগত হিসেবে জমা রেখে আত্মসাৎ করেন।
গতকাল সকালে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, প্রিন্সিপাল নেছার উদ্দিন বরাকোঠা ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজটিকে নিজের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিণত করেছেন। তিনি আরও জানান, ২০০৯ সালে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে লেখা বই ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় একের পর এক অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে বরাকোঠা ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল আবু নছর মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন