শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যেসব চ্যালেঞ্জে বাইডেন

প্রতিপক্ষকে শত্রু বিবেচনার নীতি ত্যাগ করা হবে কোভিড-১৯ মহামারি, অর্থনীতি ও বেকারত্ব মোকাবিলা, কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন, পরিবেশ সঙ্কট ও বিভাজন দূরীকরণ প্রধান লক্ষ্য

মুহাম্মদ সানাউল্লাহ/ইশতিয়াক মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বিমানের সাথে তুলনা করলে তার পাইলট হিসাবে বসতে যাচ্ছেন নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি যখন বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নেবেন, দেখতে পাবেন চারপাশে একের পর এক ঝড় তাকে আঘাত করছে। বিমানের ককপিটে কমপক্ষে পাঁচটি লাল বাতি ‘বিপদে’র সংকেত হিসাবে জ্বলজ্বল করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার ডেপুটি হিসাবে বাইডেন যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে তখন মাঝারি আকারে মন্দা চলছিল। বাইডেনের জন্য এবারের পরিস্থিতি মোকাবেলা তার চেয়েও কঠিন কাজ হবে। প্রকৃতপক্ষে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করা ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের পরেই, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কোনও প্রেসিডেন্ট হিসাবে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বাইডেন।

প্রথম ১০০ দিনেই বাইডেনকে যে পাঁচটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে : বাইডেন ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তার পরেই প্রথম ১০০ দিনের বিসয়ে তাকে যে সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেগুলো হচ্ছে- করোনা মহামারি, ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতি মেরামত ও বেকারত্ব মোকাবেলা, ক‚টনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন, পরিবেশ সঙ্কট ও বিভাজন দূর করা।

১৯১৮-এর ফ্লু মহামাীরর পরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে খারাপ সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে দেশটি রয়েছে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে। এখন অবধি সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩ লাখেরও বেশি, মুত্যুর হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৪৪ হাজার মানুষের। মহামারির কারণে সঙ্কটে পড়েছে অর্থনীতিও। ২০২০-এর প্রথম কোয়ার্টারে আমেরিকার জিডিপি সঙ্কুচিত হয়েছে ৫ শতাংশ। পরের কোয়ার্টারে এসে দেখা যায়, দেশজ উৎপাদন অকল্পনীয়ভাবে নেমে গেছে ৩১ শতাংশের মতো। এপ্রিলে দেশীয় খুচরা কেনাবেচা কমেছিল ১৬ শতাংশ আর বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল দুই কোটি ৩০ লাখে। সেপ্টেম্বরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, চলতি বছর দেশজ উৎপাদন ৩.৭ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে, আগামী বছর গিয়ে তা সামান্য বাড়বে। দেশের মধ্যে ‘ব্ল্যাক লাইভম ম্যাটার’ আন্দোলনের কারণে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদিদের সাথে অ-শ্বেতাঙ্গদের দ্ব›দ্ব চলে আসছে। ট্রাম্পও বিপুল ভোট পাওয়ায় বোঝা যাচ্ছে বিরোধীদের মন জয় করে তাকে বিভাজন দূর করতে হবে। চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধ, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা নিয়ে ইউরোপীয় মিত্রদেশগুলোর সাথে মনোমালিন্যের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রথমবারের মতো বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্রকে অবিশ্বস্ত অংশীদার হিসাবে দেখতে শুরু করেছে, যার নেতৃত্বে আর আস্থা রাখা যায় না। এসব সঙ্কট মোকাবেলায় বাইডেন যে পরিকল্পনা করছেন-

করোনা টাস্ক ফোর্স গঠন : করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স তৈরির পরিকল্পনা করছেন জো বাইডেন। আগামী দুই মাসের জন্য সাময়িকভাবে তৈরি করা হতে পারে এ টাস্কফোর্স। ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর এ টাস্ক ফোর্সকেই একটি স্থায়ী চেহারা দেয়া হতে পারে। রোববার বাইডেন জানিয়েছেন, দেশের সেরা বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি হবে এ টাস্কফোর্স। দলটির প্রথম এবং প্রধান কাজ অ্যামেরিকায় করোনার সংক্রমণ কমানো। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ, রোগীদের চিকিৎসার পরিকাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং প্রশাসনকে সে বিষয়ে নির্দেশ দেয়া। ভ্যাকসিন আসার পরে তা কীভাবে দেয়া হবে, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেবে এই দলটি।

অর্থনীতি রক্ষা : কয়েক মাস ধরে অর্থনীতিবিদেরা বলে আসছেন, করোনার কারণে ভেঙে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য ত্রাণ তহবিলের আকার বাড়াতে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা যে ব্যয় পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন, তা প্রত্যাখ্যান করেন রিপাবলিকানরা। ফলে আলোচনায় একটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এখন আবার রিপাবলিকানরা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, নতুন প্রেসিডেন্ট অফিসে প্রবেশের আগে তারা একটি চুক্তি করবেন। এখন প্রশ্ন হলো ডেমোক্র্যাটরা যা চান তার চেয়ে যদি তহবিল কম হয় এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিপর্যয় শুরু হয়, তবে মধ্যপন্থী হিসেবে পরিচিত বাইডেন সরকার কতটুকু বাড়াতে চাইবে? নির্বাচনী প্রচারেই বাইডেন শিক্ষার্থীদের ঋণ মওকুফ, অবসর ভাতা ভোগীদের সামাজিক সুরক্ষা চেক বৃদ্ধি এবং ছোট ব্যবসায়ের জন্য অর্থ সরবরাহ করার পরিকল্পনা সমর্থন করেছেন। এ ছাড়া বাইডেনের অন্যতম উচ্চাভিলাষী প্রস্তাব হলো, পরিবেশবান্ধব জ্বালানির পেছনে দুই ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য ক্রয়ের জন্যও তিনি ৪০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এ-সংক্রান্ত একটি আইনের (আমেরিকান পণ্য ক্রয় করুন বা ‘বাই আমেরিকান’) কথাও বলছেন।

আবহাওয়া পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ : নির্বাচনী প্রচারের শুরুতে যখন বাইডেন আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম পরিকল্পনাটি উন্মোচন করেন, তা হতাশ করে পরিবেশবাদীদের। তবে এ বছরে প্রচ্ছন্ন প্রস্তাব নিয়ে ফিরে এসেছেন তিনি। তার কয়েকজন সাবেক সমালোচকের সাহায্য নিয়ে নতুন প্রস্তাব তৈরি করেছেন তিনি, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে প্রস্তাবিত সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী হিসেবে বর্ণনা করা হয়। বাইডেনের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, গাড়িদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করা, করপোরেট দূষণকারীদের ওপর ক্র্যাকিং করা, পাঁচ লাখ বৈদ্যুতিক যানবাহনের চার্জিং স্টেশন নির্মাণ করা এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে কার্বনদূষণ দূরীকরণ অন্তর্ভুক্ত করা।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির পরিবর্তন : ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া নীতিগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করবেন তিনি। যদিও মি. ট্রাম্প বলেছেন, বাইডেনের জয় এখনো অনুমান, যেহেতু কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে এখনো ব্যালট গণনা চলছে। তবে বাইডেন শিবির জানুয়ারিতে শপথ নেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই তাদের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

মার্কিন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া বেশকিছু বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন দরকার হয় না, সেগুলোকে আগের অবস্থানে নেবার পরিকল্পনা করছেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্যারিস আবহাওয়া চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাতে আবারো যোগ দেবে দেশটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সরে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই সিদ্ধান্ত বদলে দেবেন জো বাইডেন। যে সাতটি দেশের নাগরিকদের উপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা প্রত্যাহার করা হবে।

বারাক ওবামার সময়কার কিছু নীতিকে পুনর্বহাল করবেন। বিশেষ করে শিশু বয়সে যারা কোন বৈধ কাগজ ছাড়া অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তাদের নাগরিকত্ব দেয়া। জো বাইডেন তার বিজয়ী ভাষণেও আসছে দিনগুলোতে তার নীতিমালা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিয়েছেন। তার একটি হচ্ছে, ‘আমাদের প্রতিপক্ষকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা বন্ধ করতে হবে’। ভাষণে জো বাইডেন ঐক্য, সহনশীলতা, সহযোগিতার সমাজ গড়ে তোলার আহবান জানান। ভাইস প্রেসিডেন্ট-‘ইলেক্ট’ কমলা হ্যারিসের সাথে মিলে এরই মধ্যে একটি ট্রানজিশন ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে করোনাভাইরাস মহামারিকে হালকাভাবে দেখা হয়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে করোনাভাইরাস মহামারিকে যেভাবে হালকাভাবে দেখা হয়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে। বিশেষ করে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়নি। যদিও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রেই। জো বাইডেন ট্রাম্প প্রশাসনের এসব নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার বিজয়ী ভাষণেই একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন যারা করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় নেতৃত্ব দেবেন।

জো বাইডেন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে চান। সকল মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিয়মিত বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং সকলের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক নির্দেশিকা প্রচলন করতে চান। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত দুই লাখ ৩৭ হাজারের মতো মানুষ করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানা পদক্ষেপ পরিকল্পনা হচ্ছে।

বর্ণবৈষম্য মোকাবেলা : জো বাইডেন এমনই এক সময়ে দায়িত্ব নেবেন যখন যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের একের পর এক মৃত্যুকে ঘিরে দীর্ঘ সময়ে সহিংস বিক্ষোভে চলেছে। ট্রাম্পের সময়ে বর্ণভিত্তিক বিভেদ বৃদ্ধি এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের উত্থান হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মি. বাইডেন বর্ণভিত্তিক বৈষম্য উচ্ছেদকে তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভিত হিসেবে তৈরি করতে চান। তিনি সরকারি তহবিল ব্যবহার করে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে বাসস্থান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চান। কৃষ্ণাঙ্গ, ল্যাটিনো ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পদের বৈষম্য দূর করতে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক যাতে আরও জোরালোভাবে কাজ করে সেটি নিশ্চিত করতে চান। পুলিশ বাহিনীর জন্যেও কিছু পরিবর্তন পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশেষ করে কোন অপরাধীকে আটক করার সময় কিছু শক্তি প্রদর্শনের পন্থা। পুলিশ প্রশাসনে সংস্কারের জন্য একটি কমিশন করার কথাও ভাবছেন তিনি।

‘জর্জিয়ায় জয় পেলে পৃথিবী বদলে দেয়া হবে’
এদিকে নির্বাচনে জো বাইডেন প্রসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে ডেমোক্র্যাটরা এখনো সংখ্যালঘু। কিন্তু জর্জিয়ায় ডেমোক্র্যাটরা জিতে গেলে ক্ষমতার এ ভারসাম্য বদলে যাবে। একে ইঙ্গিত করে সিনেটে ডেমোক্র্যাট দলের নেতা চাক শুমার বলেছেন, জর্জিয়ায় জয় পেলে তারা বিশ্বকে বদলে দেবেন।
ফক্স নিউজ জানায়, চাক শুমারের এ বক্তব্যকেই ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে রিপাবলিকানরা। চাক শুমার নিউ ইয়র্কে ওই বক্তব্য দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ন্যাশনাল রিপাবলিকান সিনেটরিয়াল কমিটি একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করেছে যেখানে ডেমোক্র্যাট দলের সমাজতান্ত্রিক অভিপ্রায়ের ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।

গত ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে জো বাইডেনের ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ২৭০ ছাড়ালেও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ফলাফলের ওপর এখন নির্ভর করছে সিনেটে কারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। ওখান এখন পর্যন্ত যা ভোট গণনা হয়েছে তাতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দুই দলের পরক্ষেই ভোট পড়েছে ৪৮ শতাংশ করে। মাত্র ১০ হাজারের মতো ভোটে এগিয়ে রয়েছেন জো বাইডেন। কিন্তু জর্জিয়ার আইন অনুযায়ী সেখান থেকে আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হতে হলে ন্য‚নতম ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। সূত্র : ইউএসএ টুডে, বিবিসি বাংলা, এপি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
হাসিব আল মামুন ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
আশা করি বাইডেন দেশ ও বিশ্বের জন্য ভালো কিছু করবে
Total Reply(0)
তানিয়া ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১:২৭ এএম says : 0
বাইডেনের উচিত হবে মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসা
Total Reply(0)
নজরুল ইসলাম ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 0
কোভিড-১৯ মহামারি, অর্থনীতি ও বেকারত্ব মোকাবিলা হতে হবে বাইডেনের প্রথম ও প্রধান কাজ
Total Reply(0)
রফিক ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩২ এএম says : 0
আমার মনে হচ্ছে বাইডেন এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারেন
Total Reply(0)
শাহে আলম ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৩ এএম says : 0
শুভ কামনা রইলো বাইডেনের জন্য
Total Reply(0)
Mohammed Zahid Ullah Chowdhury ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২২ এএম says : 0
Go to contribute the human beings .
Total Reply(0)
Sumon Hasmi ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২৩ এএম says : 0
সব ই ঠিক আছে, এখন মুসলিমদের যেন নির্যাতন না করে।
Total Reply(0)
Fazlul Haque ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২৪ এএম says : 0
সবই আল্লাহর ইচ্ছা। অভিনন্দন জো বাইডেন
Total Reply(0)
Siddik Sardar ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২৫ এএম says : 0
Best. Of. Lack
Total Reply(0)
Aysha Islam ১০ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২৬ এএম says : 0
উনিই একজন অসাধরন ভাল মনের মানুষও বটে এবং তার মত একজন সরকার এই দেশের জন্য দরকার ছিল বা আছে৷
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন