নীলফামারীর সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক স্ত্রী তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ বেøড দিয়ে কেটে দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টায় সৈয়দপুর শহরের উপকণ্ঠে উত্তরা আবাসনের বিহারিপট্টিতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাসিম মিয়া (৩০) নামের ওই ব্যক্তি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রুমা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের বিহারিপট্টির মরহুম হাফিজ মিয়ার ছেলে মো. নাসিম (৩০) এর সাথে প্রায় তিন বছর আগে একই আবাসনের শরিফুল ইসলামের মেয়ে রুমা খাতুনের (২৪) সাথে বিয়ে হয়। তাদের নিশফা নামের ১৮ মাস বয়সি এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। নাসিম পেশায় একজন ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী। তিনি পেশাগত কারণে নীলফামারীর জলঢাকায় থাকেন। গত ৪ নভেম্বর মা ছকিনা বেওয়া মারা গেলে নাসিম মিয়া সৈয়দপুরে আসেন। সে থেকে তিনি সৈয়দপুরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আর এরই মধ্যে স্বামী নাসিমের সঙ্গে তার স্ত্রী রুমা খাতুনের পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ শুরু হয়। ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রী রাতের খাবার দাওয়া শেষে আবাসনের একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। আর ওই দিন ভোরে স্ত্রী রুমা খাতুন পারিবারিক কলহের জের ধরে তার ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ ধারালো বেøড দিয়ে কেটে দেয়। পরবর্তীতে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে অটোরিকশায় করে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রæত তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নাসিমের বৈমাত্রেয় বড় বোন আবাসনের বাসিন্দা মোছা. মুক্তা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ নাসিমের স্ত্রী রুমা খাতুনকে গ্রেফতার করেন। গতকাল মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত রুমা খাতুনকে নীলফামারী আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ওসি মো. আবুল হাসনাত জানান, পারিবারিক কলহের কারণে রুমা খাতুন তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে বলে স্বীকার করেন। তবে স্ত্রী রুমার পরকীয়ায় এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন