বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মুরাদনগরে ওয়াকফকৃত মসজিদের জায়গায় প্রভাবশালীর বিল্ডিং

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২০, ৪:২৩ পিএম

কুমিল্লার মুরাদনগরে ওয়াক্ফকৃত মসজিদের জায়গায় প্রভাবশালী সিরাজ মিয়া কর্তৃক বিল্ডিং ও দোকানঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোদ মসজিদের সভাপতি ওই প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের বোড়ারচর গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় ওয়াক্ফকৃত একটি জামে মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদটির ওয়াক্ফকৃত ৫নং বোড়ারচর মৌজার ৬৯৮ ও ৬৯৯ দাগে জায়গার পরিমান ২৯ শতক। ওই জায়গার দক্ষিণ পূর্বাংশের ৩ শতক জায়গা দখল করে তিনতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে প্রথম তলা বিল্ডিং এবং উত্তরাংশে দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম ভুইয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া। শুধু তাই নয়, মসজিদের নামে থাকা পুকুর দখল করে নিজেই মাছ চাষ করছেন। যার কারণে মসজিদের উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সিরাজ মিয়াকে মৌখিক ভাবে একাধিকবার বারণ করে ব্যর্থ হয়েছেন মসজিদ কমিটির লোকজন ও স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান। নিরূপায় হয়ে জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, একই গ্রামের মৃত বজলুর রহমান ভুইয়ার ছেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভুইয়া।

মসজিদ কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, ১৯৮০ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে মসজিদটি স্থাপন করা হয়। ২০০৯ সালে কুয়েতি সংস্থার অর্থায়নে মসজিদটি সুবিশাল ও দৃষ্টিনন্দন হয়। কিন্তুু স্থানীয় সিরাজ মিয়া মসজিদের জায়গা দখল করে বিল্ডিং ও দোকানঘর নির্মাণ করে যেমন মসজিদের সৌন্দর্য নষ্ট করেেছন, তেমনি মুসলিম হয়ে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এতেই ক্ষ্যান্ত হননাই, মসজিদের পুকুরটিও দখল করে নিয়েছেন। যা অত্যান্ত দু:খজনক ও অপ্রত্যাশিত। তাই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি। আশা করছি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মসজিদটি সৌন্দর্য ফিরে পাবে।
বিষয়টির ব্যাপারে ছালিয়াকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা সরকার বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে সালিস বসেছিল। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে সিরাজ মিয়াকে কাজ না করতে বারণ করেছিলাম। সে আমার কথা কর্ণপাত করে নাই। লোকমুখে শুনেছি সে নাকি কাজ করেই যাচ্ছে।
দোকান মসজিদের জায়গায় করেছেন স্বীকার করে অভিযুক্ত সিরাজ মিয়া বলেন, মসজিদটি আমার বাপ-দাদার জায়গায়। বিল্ডিং আমার নিজের জায়গায় করেছি। কমিটির লোকের সাথে কথা বলে পুকুরে মাছ চাষ করে যাচ্ছি। দোকানটি এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর মুঠোফোনে বলেন, আমার কাছে দৈনিক ৫ হাজার দরখাস্ত আসে। বিষয়টি আমার স্মরণ নাই। যদি কেউ এ ধরণের দরখাস্ত করে থাকে, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন