সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমলেও বেড়েছে অপর দুই সূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের পতনের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও লেনদেনের শুরুতেই মূল্যসূচক কিছুটা বাড়ে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় লেনদেনের প্রথম তিন মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের সময় ১০ মিনিট না গড়াতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় নাম লেখায়। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৮৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। মূল্য সূচকের এই মিশ্র প্রবণতার দিনে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৮৬টি এবং ৮৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৭৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯২৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৫০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা শেয়ার। কোম্পানিটির ১১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো’র ২৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৫টির এবং ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন