বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে আমিরাতের ভিজিট ভিসাধারীদের হয়রানি ও কন্ট্রাক্ট বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অবিলম্বে এসব বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আরব আমিরাতের বৈধ ভিজিট ভিসাসহ যাবতীয় ট্রাভেল ডকুমেন্ট থাকা সত্তে¡ও একশ্রেণীর অসাধু ট্রাভেল এজেন্সীর সিন্ডিকেটের যোগসাজশে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ভিজিট ভিসাধারীদের আসতে বাধা সৃষ্টি করছে। এতে যারা তাদের সাথে কন্ট্রাক্ট করতে পারছেন শুধুমাত্র তাদেরকে আসতে দেয়া হচ্ছে। আর যারা কন্ট্রাক্ট করতে পারছেন না তাদেরকে আসতে দেয়া হচ্ছে না। এতে করে যেখানে বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিমান ভাড়ায় তারা আমিরাতে আসতে পারতেন সেখানে কন্ট্রাক্ট বাণিজ্যের কারণে তাদেরকে ১ লাখ ৫০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় চুক্তিতে আসতে হচ্ছে। যার ব্যয়ভার বহন করা তাদের পক্ষে খুবই কষ্টসাধ্য।
এ ব্যাপারে গত ৭ নভেম্বর শনিবার রাতে আবুধাবিস্থ একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনও করেছেন আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে আমিরাতের ভিজিট ভিসাধারীদের হয়রানি ও কন্ট্রাক্ট বাণিজ্যের কথা উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, দীর্ঘ ৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমিরাতে বাংলাদেশিদের নতুন নিয়োগ ভিসা বন্ধ থাকায় দেশীয় শ্রমিকের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারা বলেন, আমিরাত সরকার ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশিদের বৈধভাবে দেশটিতে আসার সুযোগ দিচ্ছে। তাছাড়া ভিজিট ভিসায় আমিরাতে আসার পর ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে কোম্পানির বা পার্টনার ভিসা লাগানোরও সুযোগ রয়েছে বলে জানান তারা। অথচ বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে আমিরাতের ভিজিট ভিসাধারীদের নানা অজুহাতে আটকে দেয়া হচ্ছে। তাই অবিলম্বে হয়রানি ও কন্ট্রাক্ট বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ব্যবসায়ী জিয়াউদ্দিন তরফদার, আব্দুল মান্নান, শাহেদ ন‚র, আতাউর রহমান আতা, আজমল খান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন