শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কারাগারে ইরফান সেলিম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ৮ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলামের আদালতে অস্ত্র মামলার সাত দিনের রিমান্ড শুনানি হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মাদক মামলার সাতদিনের রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৯ অক্টোবর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানার অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলায় সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন। গত ১ নভেম্বর নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও পরদিন ভোরে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর ইরফানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়া পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়। বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন