বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

কীর্তির ম্যাচে বিব্রত রামোস

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

একনজরে ফল

সুইজারল্যান্ড ১-১ স্পোন
জার্মানি ৩-১ ইউক্রেন

মাঠে নেমেই রেকর্ডের পাতায় ঢুকে গেলেন সার্জিও রামোস। ইউরোপের ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি নিজের করে নিলেন তিনি। কিন্তু উপলক্ষটা রাঙানো হলো না স্পেনের তারকা ডিফেন্ডারের। বরং বিব্রতকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক। বিস্ময়করভাবে মিস করে বসলেন দুটি পেনাল্টি! তারপরও শেষ মুহূর্তের গোলে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করল লুইস এনরিকের শিষ্যরা। গতপরশু রাতে বাসেলের সেন্ট জ্যাকব-পার্কে উয়েফা নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের চার নম্বর গ্রুপের ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ ব্যবধানে। প্রথমার্ধে সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে নিয়েছিলেন রেমো ফ্রেউলার। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মিনিটখানেক আগে স্পেনকে সমতায় ফেরান বদলি জেরার্দ মোরেনো।

স্পেনের জার্সিতে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে নিজের ১৭৭তম ম্যাচ খেলেন রামোস। তাতে পেছনে ফেলেছেন ইতালিয়ান কিংবদন্তি জিয়ানলুইজি বুফনকে। ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলুড়ে এখন তিনিই। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ২৩ মিনিটের ব্যবধানে দুবার স্পট-কিক থেকে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি। দুবারই ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার দুর্বল শট রুখে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। প্রথমে ৫৭তম মিনিটে। এরপর ৮০তম মিনিটে। অথচ এর আগে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে সবশেষ ২৫টি পেনাল্টির সবকটিতে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন রামোস।

পুরো ম্যাচ ছিল স্প্যানিশদের কব্জায়। বল দখলে আধিপত্য দেখানোর পাশাপাশি অসংখ্য সুযোগ তৈরি করে তারা। কিন্তু কাক্সিক্ষত ফল আদায় করতে পারেনি ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বিপরীতে, পাল্টা-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে সুইসরাও বেশ কয়েকবার ভীতি ছড়ায় অতিথিদের রক্ষণে। তবে তারা পুরো ১১ জন নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে পারেনি। ৭৯তম মিনিটে আলভারো মোরাতাকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নিকো এলভেদি।

দিনটা কী দুঃস্বপ্নের মধ্যেই না কেটেছে স্প্যানিশ অধিনায়কের। বহু ম্যাচ জয়ের নায়ক এদিন যেন ভিলেনই বনে গেছেন। কিন্তু তারপরও তার প্রতি আস্থা বিন্দুমাত্র কমেনি লুইস এনরিকের। ম্যাচে আরও পেনাল্টি পেলে তা রামোসই মারতেন বলে জানিয়েছেন এ স্প্যানিশ কোচ, ‘সার্জিও রামোসের সমালোচনা করা খুব অন্যায় হবে। যদি সেখানে তৃতীয়, চতুর্থ কিংবা আরও বেশি পেনাল্টি হতো, তাহলে তার সবগুলোই মারতো রামোসই। স্পটকিক নেওয়ার জন্য আমাদের একটা তালিকা রয়েছে এবং তার প্রথমেই আছে রামোস। যতদিন সে মাঠে আছে সে-ই শব শট নিবে। সে টানা পেনাল্টি শট থেকে গোল দিয়েছে, তখন কিন্তু আমরা তার সমালোচনা করিনি।’

পাশে পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ ও চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ক্লাব বার্সেলোনার জেরার্ড পিকেকেও, ‘সার্জিও একজন বিজয়ী হিসেবেই জন্ম নিয়েছে। আজ (পরশু) সে দুটি পেনাল্টি থেকে গোল দিতে পারেনি কিন্তু সে অনেক ম্যাচ খেলেছে, অনেক জয়, অনেক পরাজয় অনেক অভিজ্ঞতা তার। আজ সে দুটি পেনাল্টিতে গোল দিতে পারেনি কিন্তু আমি ঠিক জানিনা এর আগে সে কতগুলোতে গোল দিয়েছে। আমি নিশ্চিত যদি আরেকটি পেনাল্টি হতো তাই সেই নিত এবং গোল করতো।’


পাঁচ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে নেমে গেছে স্পেন। রাতের অন্য ম্যাচে ইউক্রেনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে জার্মানি। লাইপজিগের রেড বুল অ্যারেনায় রোমান ইয়ারেমচুকের লক্ষ্যভেদে পিছিয়ে পড়েছিল জোয়াকিম লোর দল। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা তুলে নেয় পূর্ণ পয়েন্ট। জোড়া গোল করেন টিমো ভার্নার। বাকি গোলটি আসে লেরয় সানের পা থেকে। আসরে আগের ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ৩-৩ ড্র করা জার্মানির এটি দ্বিতীয় জয়, দুটিই ইউক্রেনের বিপক্ষে। গত মাসে প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তৃতীয় হারের স্বাদ পাওয়া ইউক্রেন ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তলানিতে রয়েছে সুইজারল্যান্ড।

শেষ রাউন্ডে আগামীকাল রাতে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। অন্য ম্যাচে স্পেনের মাঠে আতিথ্য নেবে জার্মানি। হাইভোল্টেজ এই লড়াইয়ের ফল অনুসারে নেশন্স লিগের ফাইনালসে জায়গা করে নেবে একটি দল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন