ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ উপ-নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস, অনিয়ম ও কারচুপি হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। এজন্য এই নির্বাচন দু’টির ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবী করেছে দলটি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই উপ নির্বাচন দু’টিতে আবারো প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় বাংলাদেশে কোন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কারনে জনগণ নির্বাচন ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় একথা বলা হয়। 

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ঢাকা মহানগরীর কয়েকটি বাসে অগ্নি সংযোগের ঘটনা প্রমাণ করে যে, নির্বাচনে ব্যাপক ভোট ডাকাতির চিত্র ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আড়াল করার জন্যই এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড সরকার তার এজেন্টদের দিয়ে ঘটিয়েছে। বিএনপি একটি উদারপন্থি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তনে বিশ্বাসী। সরকার জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য পুরনো কায়দায় গণপরিবহণে আগুন দিয়ে বিএনপি’র উপর দোষারোপ করার হীন কৌশল গ্রহণ করেছে। সভা এধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা এবং ঘৃণা প্রকাশ করেছে। গণ পরিবহণে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অঙ্গসংগঠনের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ প্রায় ৫শত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে এই সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবী জানানো হয়।
এছাড়া সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো-বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস বিজয়ী হওয়াতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ হতে তাদের অভিনন্দন জানায় একই সঙ্গে গণতন্ত্রের চর্চা আরো সমৃদ্ধ করার জন্য মার্কিন জনগণকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানো হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। #