মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বাদামে আশার আলো

ভূঞাপুরে যমুনার চরাঞ্চল কৃষকদের স্বপ্ন

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

চলতি বছরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দফায় দফায় বন্যায় অর্জিত ফসল হারিয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। একাধিকবার ফসল লাগিয়েও ঘরে তুলতে পারেনি কোনো কৃষক। বন্যার কারণে উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার একর আমন ধান, সবজি ক্ষেত, বীজতলা পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে দিশেহারা হয়ে পড়ে কৃষকরা। তাদের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বুক ভরা আশা নিয়ে বিস্তৃর্ণ যমুনার চরে শত শত বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করছে চাষিরা।

সরজমিনে দেখা যায়, যমুনার পানি শুকিয়ে জেগে উঠেছে বিস্তৃর্ণ চর। আর এই বালু চরেই তাদের স্বপ্নের জাল বুনছেন বানভাসি কৃষকরা। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাদাম ক্ষেত পবিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। তাদের এই কাজে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সহযোগিতা করছেন।

চরাঞ্চলের বাদাম চাষিরা বলেন, চলতি বছরের বন্যায় ধান, পাট, সবজি ক্ষেতসহ আমাদের সকল ধরনের ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম আমরা। নেমে গেছে বন্যার পানি, যমুনার পানি শুকিয়ে জেগে উঠেছে চর। আমরা বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জেগে উঠা বিস্তৃর্ণ চরে বাদাম চাষ করছি। ফলন ভালো হলে এবং বিগত বছরের মতো বাজার দাম পেলে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো। বাদাম চাষে সার, কীটনাশক ও নিড়ানীর প্রয়োজন হয় না বলে বাদাম চাষ সহজ এবং লাভজনক। ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ১৬ মন বাদাম পাওয়া যায়। আর প্রতি মণ বাদামের মূল্য ২ হাজার ৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, উপজেলাটি যমুনা তীরবর্তী হওয়ায় প্রতি বছর বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যায় ফসলের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যমুনায় জেগে ওঠা চরে বাদাম চাষ করেছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এসব কৃষকরা। এ বছর যমুনা চরাঞ্চলে ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হচ্ছে। ফলন ভালো হলে কৃষকরা অনেকটা লাভবান হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন