সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে লোহাগড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস. এম. এ করিমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সোমবার বিকালে ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একথা জানা যায়। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা-২০১৮ মোতাবেক ওই কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একই সাথে তাকে অত্র দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, লোহাগড়া উপজেলায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্রিজ নির্মাণ খাতের ১৬টি প্রকল্পের সিডিউল বিক্রি কম দেখিয়ে ওই কর্মকর্তা সরকারি ৭ লক্ষ ৫১ হাজার পাঁচশত টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া তিনি সেবা প্রত্যাশী ও অফিসের লোকদের সাথে সব সময়ে খারাপ আচারণ করেন যা সরকারি কর্মচারী বিধিমালা পরিপন্থি।
সিডিউল বিক্রির টাকা আত্মসাতের বিষয়ে পিআইওর বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে অভিযোগ হলে বিষয়টি অধিদপ্তর নড়াইলের জেলা প্রশাসককে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়। জেলা প্রশাসক তদন্ত করে গত ৯ নভেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে লিখিত প্রতিবেদন দেন। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ পিআইওর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেন। লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোসলিনা পারভীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে ওই পিআইওর বিরুদ্ধে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদপত্রে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তিনি লোহাগড়া ইউনিয়নের নামে বরাদ্দকৃত ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন পৌরসভার মধ্যে। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী গৃহহীনদের মধ্যে ঘর বরাদ্দের কথা থাকলেও তিনি ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন তার খালু শ্বশুর দুলাল মোল্যার বাড়িতে। অথচ ওই ব্যক্তির রয়েছে তিনটি পাকা-সেমি পাকা টিনের ঘর। সরকারি নির্দেশনায় জমি আছে ঘর নেই এমন গৃহহীনরাই ঘর বরাদ্দ পাবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন