শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পত্নীতলায় গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী-শাশুড়ি গ্রেপ্তার

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ৪:৫৭ পিএম

নওগাঁর পত্নীতলায় গর্ভের সন্তান নষ্ট না করায় গর্ভবতী স্ত্রী হালিমা খাতুন (২১) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ স্বামী হাফিজুর রহমান ও শাশুড়ী হাজেড়া খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের দক্ষিণরামপুর গ্রামে সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনায় নিহত হালিমার বাবা হারুন রশিদ বাদি হয়ে হালিমার স্বামী, শ্বাশুড়িসহ পাঁচজনকে আসামী করে পত্নীতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ অন্য আসামীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেননি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার দক্ষিণরামপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী হাজেড়া খাতুন ও ছেলে হাফিজুর রহমান। নিহত হালিমা হলেন জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকচকি গ্রামের হারুন রশিদের মেয়ে।

পত্নীতলায় থানায় দায়ের করা এজাহার ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক পূর্বে হালিমার সাথে বিয়ে হয় হাফিজুরের সাথে। এরপর পারিবারিক দ্ব›দ্ব দেখা দেয় তাদের মধ্যে। এমতাবস্তায় হালিমা প্রায় ৩ মাস আগে গর্ভবর্তী সংবাদ পান পরিবার। এরপর হঠাৎ করে কয়েক দিন থেকে স্বামী হাফিজুর ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অন্ত:সত্ত‌্বা হালিমার গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। সোমবার সকালে তাঁরা আবারো গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য চাপ দিলে হালিমা তা অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী, শ্বাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে নির্যাতন করে এবং একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্নহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার করেন। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে সোমবার বিকেলে পুলিশ নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

নিহত হালিমার বাবা হারুন রশিদ জানান, তার মেয়েকে নির্যাতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে তার স্বামী, শ্বশুড়িসহ স্বামীর পরিবারের লোকজন। দ্রুত অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি এই হত্যার বিচার দাবি করেন।

পত্নীতলা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ জানান, ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিহতের ময়না তদন্তে সম্পন্ন ও হত্যার অভিযোগে নিহতের স্বামী ও শাশুড়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাঁকি আসামী পলাকত থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বাঁকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন