বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শেখ হাসিনার মতো ত্যাগী নির্বাচিত নেতা বিশ্বে আর নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ৪:৫৯ পিএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্যাগের কথা শুনলে মানুষ তাজ্জব হয়ে যায়। আমাদের সৌভাগ্য, আমরা যাকে নেতা হিসেবে পেয়েছি, তার মতো ত্যাগী নির্বাচিত নেতা বিশ্বে আর দ্বিতীয়জন নেই। ভোটের অধিকার আদায়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার ত্যাগের কারণে মানুষ সম্মান করে। আমরা ভাগ্যবান, তার মতো নেতা পেয়েছি।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘মিট দ্যা রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর পাঁচজন খুনি এখনো পালিয়ে আছে। দু’জন খুনির অবস্থান জানি। একজন আমেরিকায় রয়েছে। আরেকজন কানাডায়। ইতোমধ্যে আমরা কানাডায় আইনজীবী নিয়োগ করেছি। এখনো খুব সুরাহা হয়নি। আমেরিকায় অবস্থানরত খুনিকে ফেরাতে আশা পেয়েছি। তাদের অ্যাটর্নি জেনারেলকে সব তথ্য পাঠিয়েছি, তারা একটা সিদ্ধান্ত দেবে।

পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি আটজন বাংলাদেশিকে ফেরত আনতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। তাদের দেশে আনতে টাকাও পাঠিয়েছি। তারা ওমান থেকে পাকিস্তানে ঢোকে। তিনমাস জেলও দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। সেটা শেষ হয়েছে। পাকিস্তানে সরাসরি ফ্লাইট নেই, এখন তারা ওমানে যাবে। তারপর ওমান থেকে ফ্লাইটে দেশে আসবে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কতজন প্রবাসী দেশে ফেরত এসেছেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে ১ লাখ ৬০ হাজার প্রবাসী দেশে এসেছেন। অধিকাংশ এসেছেন সৌদি থেকে। কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর সৌদি চাপ দিলো লোক নিয়ে যাও। সৌদি প্রথমে পাঠালো, যারা জেলে ছিল। যারা ক্রিমিনাল এদেরও পাঠালো। তবে সংখ্যা খুব কম।

বিদেশে টাকা পাচারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কানাডায় খবর নিয়েছি, প্রাথমিকভাবে কিছু সত্যতা পেয়েছি। মনে করছিলাম রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু দেখা গেলো রাজনীতিবিদ চারজন। সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। এছাড়াও কিছু ব্যবসায়ীও আছে। কিন্তু বিদেশে যদি কেউ বৈধভাবে টাকা নেয়, তাহলে কোনো আপত্তি নেই। তবে অবৈধভাবে পাচার করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেখানে আলোচনা হবে। পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমাধান বলে আশাবাদী।

ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রচুর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাÐ হয়। কিন্তু সেই তুলনায় বাংলাদেশে সেটা অনেক কম। ধর্ষণও আমাদের দেশে প্রতি ১০ লাখে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। কিন্তু ওপেন সেক্সের দেশ হওয়া সত্তে¡ও আমেরিকায় সেটা আরো বেশি।

তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ ভারত। তাদের সঙ্গে একটা সলিড রিলেশন। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। উন্নতি হলে কিছু শত্রæও বাড়বে। সেজন্য আমরা কাজও করছি।

অন্য আর এক প্রশ্নের জবাবে ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসা ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে আমরা আগেও কাজ করেছি। জো বাইডেন খুব পরিপক্ব রাজনীতিবিদ। এটা পৃথিবীর জন্য আশীর্বাদ। নতুন সরকারে সঙ্গে কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা জলবায়ু নিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করবো। প্রবাসীদেরও সুবিধা হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
habib ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ৬:৪৪ পিএম says : 0
Apnader kache amra sobai bukai roye gelam....
Total Reply(0)
Mohammed Zaman ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২২ পিএম says : 0
তাই নাকি?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন