ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া বাসার কক্ষ থেকে শিমলা আক্তার নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় নিহতের স্বামী মো. রিয়াজকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার আশুলিয়ার শিমুলতলা ফকির বাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসার শয়নকক্ষ থেকে গৃহবধূ শিমলার মরদেহ উদ্ধারের পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহত শিমলা আক্তার (১৮) পাবনা জেলার আমিনপুর বাজার থানার ঘুগছুলান্দা গ্রামের শিমুল শেখের মেয়ে। শিমলা ও তার ছোট বোন কথা আশুলিয়ার শিমুলতলা ফকির বাড়ি মসজিদ সংলগ্ন নুরু ফকিরের বাড়িতে মা মৌসুমি বেগমের সাথে ভাড়া থাকতো।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল হক জানান, নিহত ওই গৃহবধ‚র লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। নিহতের গলায় কালচে দাগ পাওয়া গেছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তবে জিজ্ঞাজাসাদের জন্য নিহতের স্বামী রিয়াজকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের মা মৌসুমী বেগম জানান, একই ভাড়া বাসায় একটি কক্ষে ছোট মেয়েকে নিয়ে থাকেন তিনি। পাশের কক্ষেই থাকতো মেয়ে ও জামাই রিয়াজ। বুধবার পাশের কক্ষে মেয়েকে ডাকতে গিয়ে দেখেন দরজা বাইরে থেকে সিটকিনি দেয়া। পরে দরজা খুলে কক্ষে ঢুকে মেয়েকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখেন। দুটো বালিশে সোজা করে মেয়ের মাথার নিচে দেয়া ছিল। তখন ডাক দিয়ে সাড়া না পেয়ে মেয়ে শিমলার হাত-মুখে হাত দিলে অনেক ঠান্ডা অবস্থায় পান।
আতঙ্কে ছোট মেয়ে কথাকে চিৎকার দিয়ে ডেকে আনেন। এসময় বালিশ থেকে মেয়ে শিমলার মাথা তুলতেই গলার একপাশে কালো দাগ দেখি। তার পায়েও জখমের চিহ্ন ছিল। পরে তার মেয়েকে নিকটস্থ নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, রিয়াজই তার মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন