বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ধামরাইয়ে প্রধান শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ

ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকার ধামরাইয়ে ঐতিহ্যবাহী ভালুম আতাউর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুধু টাকা আত্মসাৎ নয় বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কয়েকজন সহকারী শিক্ষককে নানা কারণ দেখিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভালুম আতাউর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ওই বিদ্যালয়ে ৪ বছর পূর্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার পরই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করাসহ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আসছিল। ওই সময় কোনো শিক্ষক এর প্রতিবাদ করলেই তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এমনকি তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হতো। ওই সময়ের সভাপতি পরিবর্তন হওয়ার পর নতুন সভাপতি আসার পরই বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের অনিয়ম ও দুর্নীতি স্পষ্ট হয়ে উঠে। অডিট উপকমিটি বিদ্যালয়ের নথিপত্র পর্যালোচনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ওই বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক প্রায় ১০ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম করেছে বলে বর্তমান সভাপতির নিকট প্রতিবেদনের নতি পেশ করেন। এ অভিযোগে বর্তমান সভাপতি কফিল উদ্দিন জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। বরখাস্ত করার পর ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় যাবতীয় কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে বললেও নানা তালবাহানা করছে। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাজনীন আক্তার ও প্রতুল চন্দ্র সরকারসহ অনেকেই বলেছেন, বরথাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে মারধরের কথা উল্লেখ করে মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তাকে কেউ মারধর করেনি। বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয় আমার রুমে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এমনকি আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিতও করা করেছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি কফিল উদ্দিন বলেন, শিক্ষকদের সাথে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম খুবই খারাপ আচরণ করতো। তবে তাকে বিধি মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন