গত সপ্তাহে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেন, তুরস্ক শান্তিচুক্তির অন্যতম অংশীদার হিসেবে এসব অঞ্চলে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে পারবে।
এদিকে সদ্য দখলমুক্ত নাগার্নো-কারাবাখে রাশিয়ান সেনা মোতায়নের বিরোধিতা করে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বিক্ষোভ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা “রাশিয়া চলে যাও, তুরস্ক থাকো!” শ্লোগান দিয়ে আজারবাইজান সরকারকে রাশিয়ান শান্তিরক্ষীদের সরিয়ে দিয়ে তাদের স্থলে তুরস্কের সেনাবাহিনী মোতায়নের আহ্বান জানিয়েছে।
এসময় বিক্ষোভকারীদের হাতে তুরস্ক, প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ও তুর্কি সেনাবাহিনীর পক্ষে প্ল্যাকার্ড এবং পোস্টার দেখা গেছে।
এদিকে মঙ্গলবার তুরস্কের পাল্টামেন্টে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর ব্যাপারে বিল পাস হয়েছে।
বিলে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করতে আঙ্কারা ও মস্কোর মধ্যে চুক্তির অংশ হিসেবে এক বছরের জন্য তুর্কি সেনারা এসব অঞ্চলে অবস্থান করার কথা উল্লেখ করা হয়।
বর্তমানে নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলে দুই হাজারের মতো রাশিয়ান সেনা অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার বলেছেন, তুর্কি ও রাশিয়ান কর্মকর্তারা এখনো এই চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করছেন।
নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে ১৯৯১ সাল থেকে উত্তেজনা চলে আসছে। সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, যেটি ১০ নভেম্বর স্বাক্ষরিত একটি শান্তি চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন