শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ছেলে হত্যার বিচার দাবি প্রেসক্লাবের সামনে মায়ের অবস্থান কর্মসূচী

গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ৪:৫১ পিএম

আমার নিস্পাপ ছেলে শামীম মিয়াকে (১৩) নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার সাথে তো এলাকার কারো কোন শত্রুতা ছিলনা। আমাদের সাথেও কারো শত্রুতা নেই। রামদিয়া শ্রীকৃষ্ণ শশী কমল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণিতে আমার ছেলে পড়াতো। পাড়াশোনা আর সহপাঠীদের সাথে খেলাধূলা করতো। আমার ছেলে খুবই মেধাবী ছিলো। তাকে আমরা বিসিএস ক্যাডার বনানোর স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু দুর্বৃত্তরা ব্যাটারি চালিত ভ্যান ছিনিয়ে নিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। তারা আমার কোল শূণ্য করে দিয়েছে। আমি ছেলের শোকে দিশেহারা। আমার স্বামী ট্রাক চালক। আমরা গরিব। ছেলে হত্যা মামলা চালানোর মতো সঙ্গতি আমদের নেই। তারপরও আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২ টা থেকে পৌনে ৩ টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান করে স্কুল ছাত্র শামীম মিয়ার মা জেসমিন বেগম এ দাবি জানান।
তিনি তার স্বামী মোঃ অরিফ মিয়া ও ভাসুর মোঃ মোক্তার মিয়াকে সাথে নিয়ে ছেলে হত্যার বিচারের দাবি সম্বলিত পোস্টার হাতে নিয়ে ঘন্টাব্যাপী এ অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।
হত্যাকান্ডের শিকার স্কুল ছাত্র শামীম মিয়া কাশিয়ানী উপজেলার সাফলীডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আরিফ মিয়ার ছেলে।
হত্যাকান্ডের শিকার স্কুল ছাত্র শামীম মিয়ার পিতা আরিফ মিয়া জানান, করোনার মধ্যে শামীমের স্কুল বন্ধ রয়েছে। তাই ১ মাস আগে সে পাশ্ববর্তী ওড়াকান্দি গ্রামের সুমন তালুকদারের কাছ থেকে একটি ব্যাটারী চালিত ভ্যান গাড়ি প্রতিদিন ১৫০ টাকা ভাড়া নিয়ে যাত্রী পরিবহন করে রোজগার শুরু করে। শামীম গত ২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮ টায় ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন তিনি এ ঘটনায় কাশিয়ানী থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। গত ৫ নভেম্বর কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের বসরত খালের কচুরিপানার মধ্য থেকে পুলিশ শামীমের লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্ত শেষে গত ৫ নভেম্বর শামীমের লাশ দাফন করা হয়। ওই দিন রাতেই কাশিয়ানী থানায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন