মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শেখ হাসিনা বিশ্বে শান্তির সংস্কৃতি চালু করেছেন : ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে শান্তির সংস্কৃতি চালু করেছেন এবং ১৯৩টি দেশ তা গ্রহণ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ আয়োজিত ‹জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন› শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, শান্তির সংস্কৃতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো মানুষে মানুষে শ্রদ্ধাবোধ বাড়ানো। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত শান্তি প্রিয়। তার আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অনেক বছর ধরে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি ছিল ‹সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রæতা নয়›, যা আমরা এখনো প্রতিপালন করে চলেছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু কোনো বøকে না গিয়ে দেশের স্বার্থে স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি চালু করেন। দেশের মঙ্গল ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের বিরোধিতা করেছে, তাদের প্রতিও তিনি হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অন্যতম দর্শন ছিল সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি। দল-মত নির্বিশেষে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিল তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের একটি বড় দিক। বঙ্গবন্ধু সবসময় মানুষকে সবচেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছেন ও ভালোবেসেছেন। আমরা তার পদাঙ্ক অনুসরণ করছি। শোষিত মানুষের পক্ষে তিনি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভাষা আন্দোলন, ৬ দফাসহ সকল আন্দোলন তিনি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু সোনার বাংলার স্বপ্নই দেখেননি, তিনি সেই স্বপ্ন মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন হলো আজকের বাংলাদেশ।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়ায় স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু কৃষির ওপর জোর দেন। স্বাধীনতার পরপরই তিনি ২৬ হাজার স্কুল সরকারিকরণ করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। দেশের উন্নয়নের জন্য স্বাধীনতার পর পরই তিনি ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান কাজী শোয়েবুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন এবং সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন