প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, সারা বছর মশা নিধনের কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে সিটি কর্পোরেশন। আগামী জানুয়ারিতে শীত আসছে, ঐ সময় ডেঙ্গু প্রকোপ কমবে। নভেম্বরে ডেঙ্গু প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ শুরুতে বৃষ্টি হয়েছে। এতে ড্রেনে বৃষ্টির পানি জমাট বেঁধে এডিস মশা ডিম হয়েছে, ফলে এডিস মশার প্রজনন বেড়েছে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গতকাল গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন। করোকালীন সময়ের চিত্র তুলে দরে ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ লকডাউনের সময় মানুষ বাসাবাড়িতে ছিল। ঐ সময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার রেখেছিল। তাই তখন ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়নি। এখন লকডাউন না থাকায় মানুষ বাইরে বেরিয়ে আসছে। আর বাড়ির আশপাশের জমাট বাঁধা পানি পরিষ্কার করছে না। ফলে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ আরো বলেন, এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে। আর এ কাজটি সিটি করপোরেশনের। শুধু মৌসুমে তৎপর হলে হবে না; সারা বছর ধরেই এডিস মশা নিধরে কাজ করতে হবে। সেই সাথে নিজেদেরও শতর্ক থাকতে হবে, ঘরের আনাচে-কানাচ পরিস্কার রাখতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ ও বেশি করে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যাসপ্রিন জাতীয় কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন