মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লালমোহনে ন্যায় বিচারের দাবীতে অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২০, ৬:৫৮ পিএম

ভোলার লালমোহনে ন্যায় বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অসহায় নারী। শনিবার দুপুরে লালমোহন প্রেসক্লাবে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের গাইমারা এলাকার রেখা বেগম নামের ওই নারী এ সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বাড়ির পাশের বিল্লালের ছেলে মোক্তার হোসেন ও মৃত হাসান আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর প্রায়ই আমাকে উত্যক্ত করে। বিভিন্ন সময় তারা আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারাই ধারাবহিকতায় গত ৮/৮/২০২০ইং শনিবার রাত অনুমান ১১টার সময় আমি প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বিদ্যুতের আলো জালিয়ে ঘর থেকে বাহির হই। ওই সময় উল্লেখিত দুই বিবাধী ঘরের বাইরে ওৎ পেতে রয়েছে আমি জানতাম না। আমি ঘর থেকে বের হওয়া মাত্রই বাথরুমের কাছে গেলে মোক্তার ও জাহাঙ্গীর আমার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এসময় আমি ডাক চিৎকার দিলে ঘর থেকে আমার মা আসলে তারা দুইজন পালিয়ে যায়।
রেখা বলেন, এই ঘটনায় লালমোহন থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে ভোলা কোর্টে গত ২৬ আগষ্ট আমি মোক্তার ও জাহাঙ্গীর কে বিবাধী করে মামলা দায়ের করি। মামলা তদন্তের জন্য লালমোহন থানায় পাঠালে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান তদন্তের দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমাকে ডেকে নিয়ে বিবাধীদের সাথে ফয়সালায় যাওয়ার জন্য বলেন।
বর্তমানে মামলার কোন তদন্ত না করে মামলাটি ফেলে রাখা হয়েছে। যার কারনে আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
অভিযোগ করে রেখা আরও বলেন, মামলা করার পর আসামীরা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আমার ঘরের চালে রাতে ডিলা মেরে আমাকে উত্যক্ত করে আসছে। এছাড়া বাড়ীর চারদিকে কাটা ও জাল দিয়ে আমাদের আসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বর্তমানে অন্য একজনের বাড়ির বাগানের মধ্য দিয়ে চলাফেরা করি। এ অবস্থায় আমি চরম দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছি। আমি কোন বিচার পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান বলেন, বাদীর মামলা তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়নি। যার কারণে মহিলা বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমার কাছে তদবির চালায় তার পক্ষে তদন্ত রিপোর্ট দিতে। তদবির না রাখায় সে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন