জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যায় বিচারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ইরাকে সোমবার প্রায় ৫০ জন বন্দির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হতে পারে। শুক্রবার জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এক যৌথ বিবৃতিতে এই গণ মৃত্যুদন্ড কার্যকর অবিলম্বে বন্ধে বাগদাদ সরকারের প্রতি আহবান জানান। তারা জানায়, গত অক্টোবরে ২১ জন বন্দির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। এরপর গত সপ্তাহে নাসিরিয়া কেন্দ্রীয় কারাগারে আরও ২১ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দেখে মনে হচ্ছে- ‘মৃত্যুদন্ডের অপেক্ষায় থাকা সব বন্দির রায় কার্যকর’ করা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরাকে প্রায় চার হাজার বন্দির মৃত্যুদন্ডের রায় কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ রয়েছে। তারা বলছেন, খুব শিগগিরই শত শত বন্দির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। কারণ তাদের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করা হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলছেন, আমরা ইরাকি সরকারকে আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে অবিলম্বে কারাবন্দিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আরও পরিকল্পনা বন্ধের আহবান জানাচ্ছি। সন্ত্রাসবিরোধী যে আইনের আওতায় বিচার পরিচালনা করা হয়েছে তাতে উদ্বেগজনক অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছেন তারা। আসামিপক্ষ প্রায় ক্ষেত্রেই আত্মপক্ষ সমর্থনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের ওপর যে নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে তা তদন্ত করা হয়নি। ইরাকি সরকার তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন