বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন আলু। বাজারের খুচরা দোকানে নতুন আলু সাজিয়ে রাখতে দেখা গেছে। দাম প্রতি কেজি ১০০ টাকা। নতুন আলু দেখে অনেকেই কেনার জন্য এগিয়ে গেলেও দাম শুনে আর কিনছেন না। পুরান আলুর দাম এখনো ৫০ টাকা কেজি।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেব অনুযায়ী দেশে প্রতিবছর ৬৫ লাখ মেট্রিক টন আলুর চাহিদা রয়েছে। পক্ষান্তরে দেশে আলু উৎপাদিত হয় কমবেশি ১ কোটি মেট্রিক টন। সেক্ষেত্রে আলু উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম আলু উৎপাদনকারী দেশ। দেশে উৎপাদিত আলু চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা হয়।
জুন-জুলাই মাসে যে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা। গত কয়েক মাস ধরে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। আলুর এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়ে স্বল্পআয়ের মানুষ। শাকসবজির উচ্চমূল্যের বাজারে গরীব পরিবারগুলোর একমাত্র ভরসা ছিল আলু। সবজি সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে বাজারে আলুর অস্বাভাবিক মূল্য বেড়েছে। তারা প্রতিবছরই বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু চলতি বছরের মত আলুর মূল্য এতটা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে দেখা যায়নি।
আলুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যার কারণে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আলুর উৎপাদন কম হয়েছে। যার ফলে আলুর মজুদও কম হয়েছে। আগের বছর যেখানে আলু মজুদ ছিল ৫৫ লাখ মেট্রিক টন, চলতি বছর সেই মজুদ দাঁড়ায় ৪৫ লাখ মেট্রিক টন। করোনাকালে চাল ডালের সাথে আলু সাহায্য হিসেবে বিতরণের কারণে এ বছর আলুর ব্যবহার হয়েছে বেশি। যে কারণে এ বছর আলুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছর ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৭০ ভাগ জমিতে আলু চাষাবাদ শেষ হয়েছে। আর মাত্র ১৫ দিন পরেই নতুন আলু ব্যাপকভাবে বাজারে আসতে শুরু করবে। তবে দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আসতে আরো মাস খানেক সময় লেগে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন