শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

খালেদা জিয়া এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে স্থানান্তরিত হয়েছেন: মিলন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলন বলেছেন, বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না, সরকার ভয় পাচ্ছে। বেগম জিয়াকে এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে, কিন্তু মুক্তি দেয়া হয়নি। কারণ সরকার জানে, বেগম জিয়া মুক্ত হলে, পাগল ইসি দিয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচন হবে না। বেগম জিয়া মুক্ত হলে শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাত নিয়ে তামাশা করা চলবে না। আমরা বেগম জিয়াকে মুক্ত করার মাধ্যমে আবার দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবো।

গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণভবনের পাশে শহীদ জিয়ার মাজার থাকায় সরকার ভয় পেয়ে মাজার সরানোর ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেছেন, ‘সরকার শুধু জীবিত তারেক রহমান কিংবা বেগম জিয়াকে ভয় পায় না, সরকার মৃত ব্যক্তিকেও ভয় পায়। গণভবনের পাশে শহীদ জিয়ার মাজারকে ভয় পেয়ে সেটা সরানোর ষড়যন্ত্র করছে অবৈধ সরকার। যাদের হাতে এদেশ নিরাপদ না, এসব ষড়যন্ত্রের আগেই তাদের বিদায় দিয়ে এদেশকে মুক্ত করতে চাই।
এহসানুল হক মিলন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জেনিটিক্যালি স্মার্ট। দেশ ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য তারেক রহমানের বিকল্প নেই, এটা সরকারের জন্য আতঙ্ক। এজন্য তাকে দেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না, মিথ্যা মামলায় সাঁজা দেয়া হয়েছে, দেশে আসতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশের জনপ্রিয় একটি নাম। দেশের প্রতিটি মানুষের বিশ্বাস তারেক রহমান ছাড়া এদেশ ও দেশের স্বাধীনতা নিরাপদ না। সমৃদ্ধ দেশ গড়তে তারেক জিয়ার বিকল্প নেই। এটা সরকার বুঝতে পেরে নানা ষড়যন্ত্রে মেতেছেন। মিথ্যা মামলায় সাঁজা দেয়া হয়েছে যাতে তিনি দেশে আসতে না পারেন।
শিক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া নারী শিক্ষাসহ শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে অবদান রেখেছিলেন। এই সরকার সেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে অটো প্রমোশনেরর ব্যবস্থা করেছে। এর মাধ্যমে আমার দেশের শিক্ষাকে ধ্বংস করে প্রতিবেশী দেশের আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলেরর সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা কাজী মনির, শাহজাহান সম্রাট, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবেদ ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী শফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপি ও নাগরিক দলের নেতারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন