ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় নিখোঁজের ১২ দিন পর জঙ্গল থেকে সোহেল রানা নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সজীব আহমেদ নামে তারই এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছে আরেক বন্ধু তুষার। গতকাল গ্রেফতার সজীব আহমেদের দেয়া তথ্যমতে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার জঙ্গল থেকে নিখোঁজ সোহেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সোহেল রানা ফরিদপুর জেলার পাঁচগাঙ্গুলি গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র। সে পরিবারের সাথে আশুলিয়ার গৌরীপুর এলাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। সোহেল নিজেও একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। গ্রেফতার সজীব আহমেদ পাবনা জেলার শাজাহানপুর থানার শহীদুল ইসলামের ছেলে।আশুলিয়া থানার এসআই জসিম উদ্দিন জানান, গত ১০ নভেম্বর সোহেল রানা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে ১২ নভেম্বর আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল আশুলিয়ার গৌরীপুর এলাকা থেকে সোহেলের বন্ধু সজীবকে গ্রেফতার করে। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে সোহেল রানাকে ডেকে নিয়ে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। পরে টঙ্গাবাড়ির একটি জঙ্গল থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নিহত সোহেল গ্রেফতার সজীব ও পলাতক তুষার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পূর্বের মনোমালিন্য ও মোবাইল হাতিয়ে নেয়ার জন্য সোহেল রানাকে ১০ নভেম্বর রাতেই শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে দেয় তারা দুজনে।
নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলের মোবাইলের জন্য তার দুই বন্ধু তাকে নির্মমভাবে গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আমি এই হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। এ ঘটনায় নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন