বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চাকরির প্রলোভনে হাসপাতালে ধর্ষণ

শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ধর্ষণ করেছেন ওই হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় আমির হোসেন সরদারের ভাতিজা রিজভি সরদার। ধর্ষক রিজভি সরদার শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মাহামুদপুর গ্রামের মৃত তেলাম সরদারের ছেলে। গত রোববার গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। 

এই ঘটনায় গতকাল শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে।
মামলা ও ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, ধর্ষিতা একজন গৃহীনি ও বিএম আইডিয়াল কলেজের ছাত্রী। এই বছর তিনি এইচএসসি (অটো) পাস করেছেন। বিগত ২ বছর পূর্বে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী প্রবাসে থাকে। ধর্ষক রিজভি তার পার্শ্ববর্তী গ্রামে বসবাস করে এবং ধর্ষকের ছোট ভাইয়ের সাথে পড়াশুনা করে। সেই সুবাদে ধর্ষক রিজভি তার পূর্ব পরিচিত। বিগত অনেক দিন যাবৎ ধর্ষক পড়াশোনার বিষয়ে ধর্ষিতাকে সহায়তা করতো। কিছুদিন ধরে এনজিওতে চাকরি দেয়ার কথাও বলে ধর্ষক রিজভি। গত শনিবার চাকরির স্বাক্ষাৎকার দেয়ার কথা বলে সে ধর্ষিতাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সোহাগ একটা কক্ষ খুলে দেয়। সেই কক্ষে মেয়েটিকে আটকে রেখে হাত ও মুখ বেধে ধর্ষণ করে রিজভি।
ধর্ষকের চাচা ও গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় আমির হোসেন সরদার বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না। লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। যে ভাতিজা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে আমি তার পরিচয় দিতে চাই না। তাকে পালাতেও আমি কোন সহায়তা করিনি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মৃধা নজরুল কবির বলেন, মেয়েটিকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন কক্ষে আটকে রেখে হাত-মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি আমরা ট্রাইব্যুনালকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ থানাকে নির্দেশে দিয়েছেন। আমি আশাবাদী আমরা ন্যায় বিচার পাব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন